চট্টগ্রাম ব্যুরো : দলীয় আন্তঃকোন্দলের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এবার চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনেও।
দীর্ঘ ১৮ বছর পর আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে এই বিপত্তি ঘটে। নগরীর পাঁচলাইশে একটি কমিউনিটি সেন্টারে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের সূচনা হতে না হতেই সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সম্মেলন স্থলে প্রবেশ করা নিয়ে উত্তেজনা, বাগ-বিতণ্ডা, নগর মহিলা আওয়ামী লীগের দুই বিবদমান পক্ষের মধ্যকার হৈচৈ, দফায় দফায় নেতা-কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
নগর মহিলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বেগম হাসিনা মহিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক তপতি সেনগুপ্তার অনুসারীদের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে। এ সময় সম্মেলনে প্রবেশ করতে না পেরে তপতি সেনগুপ্তার অনুসারীরা সম্মেলনমুখী গাড়িবহরেও বাধা দেন।
জানা গেছে, আগে থেকেই সম্মেলনের নিয়ন্ত্রণ বা ‘চাবিকাঠি’ রয়েছে নগর মহিলা লীগের সভাপতি, সাবেক সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পত্নী বেগম হাসিনা মহিউদ্দিনের হাতেই। কিন্তু আরেকটি পক্ষের হয়ে নেতৃত্বে থাকা তপতি সেনগুপ্তা তার অনুসারীদের নিয়ে সম্মেলন স্থলে প্রবেশ করতে চেষ্টা চালান। তবে তাদের কাউন্সিলিং কার্ড না থাকায় পুলিশ তখন ঢুকতে বাধা দেয়। সম্মেলনে যেতে না পেরে সেই পক্ষের নেতা-কর্মীরা ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। তপতি সেনগুপ্তার অভিযোগ, তার পক্ষের নেতাকর্মীদের কাউকেই সম্মেলনে প্রবেশের জন্য কাউন্সিলিং কার্ড দেয়া হয়নি। তার পক্ষের যারা কমিটিতে যারা আছেন তারাই কেবল কার্ড পেয়েছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অঙ্গ সংগঠনসমূহের মাঝে সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নগর সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং বর্তমান মেয়র ও দলের মহানগর সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের পক্ষে আর বিপক্ষে দু’টি ধারায় মেরুকরণ চলে আসছে। গ্রুপিং অনেক সময়ই প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব সংঘাতে রূপ নিয়ে থাকে। তবে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা সভা-সমাবেশে পাশাপাশি সহাবস্থান নিয়েই বক্তব্য রাখেন।
আবার চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলায় রয়েছে প্রবল কলহ-কোন্দল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন