স্টাফ রিপোর্টার : স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমোদন ছাড়াই ভুয়া অনুমোদনপত্রে নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দাম দেখিয়ে ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী কেনার অভিযোগে করা মামলায় ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ছাড়াও সড়ক ও জনপথ বিভাগের এস্টেট আইন কর্মকর্তা কার্যালয়ের সহকারী আইন কর্মকর্তা, ঘুষসহ আটক জহুরুল হকের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে দুদক। গতকাল রোববার কমিশন এ চার্জশিট অনুমোদন দেয় বলে ইনকিলাবকে জানিয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
ছয়জন হলেনÑ বরিশালের সাবেক সিভিল সার্জন মো: খায়রুল আলম, ডেপুটি সিভিল সার্জন সাইদুর রহমান, মেডিক্যাল অফিসার মো: হাবিবুর রহমান, বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো: জয়নাল আবেদীন, সাবেক জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো: হাবিবুর রহমান এবং ঠিকাদার মো: আমিনুর রহমান চৌধুরী। ১৯৯৬-৯৭ ও ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে প্রযোজ্য সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ওষুধ কেনা এবং ঠিকাদারের কাছ থেকে ভ্যাট কেটে না রাখার অভিযোগে গত বছরের মার্চে বরিশালের কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়। মামলার তদন্ত করেন, সংস্থার সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেন।
সওজের আইন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট :
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সহকারী আইন কর্মকর্তা জহুরুল হকের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঘুষসহ হাতেনাতে আটক জহুরুল হকের বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন দেয়। ২০১৬ সালের ৯ নভেম্বর ঘুষ গ্রহণের সময় দুদকের অভিযাত্রীক দলের হাতে আটক হন তিনি। পরে দুদকের সহকারী পরিচালক মো: মনিরুল হক তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় ওই দিনই মামলা করেন। তদন্ত শেষে কমিশনের উপ-সহকারী পরিচালক নাজিম উদ্দিন তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়ার সুপারিশ করেন। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকার বেনিয়ান শেড ফুড কোর্ট থেকে ১৫ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার সময় দুদকের হাতে আটক হন ওই কর্মকর্তা।