কূটনৈতিক সংবাদদাতা : রাশিয়ার সহযোগিতায় রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের দরকার ব্যাপক প্রস্তুতি। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা গতানুতিক জনবল দিয়ে সম্ভব হবে না। যে কোনো স্থাপনায় সেনাবাহিনী, পুলিশ বা বিজিবি যেমন নিরাপত্তা দিয়ে থাকে তার থেকে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রমে ভিন্নতা রয়েছে। রাশিয়া থেকে আগত পরমাণু বিশেষজ্ঞ ড. পিতার তোপিচকানোভ গতকাল (বুধবার) গুলশানের হোটেল সিক্স সিজনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে ইনস্টিটিউট অব পিস এন্ড সিকিউরিটি স্ট্যাডিজের (বিআইপিএসএস) আয়োজনে একমাত্র বক্তা ওয়াশিংটনভিত্তিক থিংকট্যাংক কার্নেগি মস্কো সেন্টারের ননপ্রলিফারেশন প্রোগ্রামের ফেলো ড. পিতার তার প্রবন্ধ পাঠ করার পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। আলোচনা অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিআইপিএসএস-এর প্রধান মেজর জেনারেল মনিরুজ্জামান (অব.)। ড. পিতার তোপিচকানোভ বলেন, বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য সবার আগে দরকার এ প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে সকলকে শিক্ষিত করে তোলা। এটি সাধারণ বিষয় নয়। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে এখনও বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার কোনো চুক্তি হয়নি। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেমন ভারত, ইরান বা তুরস্কে যেসব প্লান্ট রাশিয়া তৈরি করেছে সেখান থেকে বর্জ্য ফিরিয়ে নেয়ার উদাহরণ রয়েছে।
তিনি বলেন, ভারতের সংসদ পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্ঘটনা হলে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে আইন করেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ কোনো আইন করবে কি না তা সম্পূর্ণ বাংলাদেশের আইন প্রণেতাদের বিষয় বলেও জানান তিনি।
ড. পিতার বলেন, ইউক্রেন সংকটকে কেন্দ্র করে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও পরমাণু অস্ত্র ও প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে এখনও দু’দেশ এক রকমেরই মনোভাব পোষণ করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন