শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পুলিশ হেফাজতে দিনমজুরের মৃত্যুর ঘটনায় এএসআই সাময়িক বরখাস্ত

সিরাজগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ৫:২৪ পিএম

সিরাজগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে থানায় কর্মরত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রবিউল ইসলামের হেফাজতে থাকা এক দিনমজুরের মৃত্যুর অভিযোগ উঠার পর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ এ তথ্য জানান। এর আগে বুধবার রাতে টাঙ্গাইলের নাগরপুর ও সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা বন্যা মোড় থেকে নাগরপুর উপজেলার দেওজান সলিল গ্রামের হিরু মিয়ার ছেলে ঠান্ডু মিয়াকে (৪৫) আটক করে চৌহালী থানায় নেয়ার পথে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে তিনি মারা যান। এ ঘটনার পর নিহতের স্বজনরা পুলিশের মারপিটে মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ করলেও এএসআই রবিউল ইসলাম দাবি করেছিলেন, চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে লাফ দিয়ে পালাতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু ইউসুফ জানান, ইতোমধ্যেই এএসআই রবিউল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদিকে, সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত ঠান্ডু মিয়ার লাশ সাড়ে বিকেল ৩টার দিকে পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

নিহতের শ্বশুর রায়হান আলী অভিযোগ করেছিলেন, বুধবার সন্ধ্যার পর পাশের (চৌহালী উপজেলার অন্তর্গত) বন্যা মোড়ে দিনমজুর জামাতা ঠান্ডু মিয়া অবস্থান করছিলেন। এমন সময় চৌহালী থানার এএসআই রবিউল ইসলাম মটরসাইকেলযোগে সাদা পোশাকে একা সেখানে পৌছে ঠান্ডুর হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করে। সেখানে আশপাশের বেশ কিছু লোকজন জমায়েত হয়ে তার কাছে আটকের কারণ জানতে চাইলেও তিনি কিছু বলেননি। একপর্যায়ে জোরপূর্বক ঠান্ডুকে মোটরসাইকেলের পিছনে তুলে নিয়ে যান রবিউল। কিছুক্ষণ পরই জানতে পারেন তার জামাতাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সেখানে গিয়ে জামাতার লাশ দেখতে পান। তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। রায়হান আলী অভিযোগ করেন, ঠান্ডুকে এএসআই রবিউল অন্যায়ভাবে আটকের পর মারপিট করে হত্যা করেছে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন। ঠান্ডুর বিরুদ্ধে কোন থানায় একটি মামলাও নেই বলে দাবি করেন তিনি।

এ ঘটনার পর এএসআই রবিউল ইসলাম বলেছিলেন, থানার ওসি আকরাম হোসেনের নির্দেশে ঠান্ডু মিয়াকে আটক করেছিলেন তিনি। মটর সাইকেলে আনার পথে তিনি লাফ দিয়ে পালানোর সময় মাথায় গুরুতর জখম হন। সেখান থেকে তাকে উদ্ধারের পর নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঠান্ডুকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে চৌহালী থানার ওসি আকরাম হোসেন বলেন, অফিসিয়াল কাজে বুধবার সিরাজগঞ্জ জেলা সদরে ছিলাম। আমি ঠান্ডুকে আটকের নির্দেশ দেইনি। এএসআই রবিউল ইসলাম মিথ্যা বলেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন