রাজিব আহমেদ, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম নির্বাচিত সভাপতি। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই সেক্টরে কাজ করছেন। পাশাপাশি এই সেক্টরের উন্নয়নে ব্যক্তিগতভাবে এবং সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতায় নানামুখী কাজ করছেন। তার প্রচেষ্টায় ২০১৫ সালে ই-ক্যাব ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন পায় এবং বর্তমানে ৫৭৫টি প্রতিষ্ঠান এর সদস্য। ই-কমার্সের নানা দিক নিয়ে দৈনিক ইনকিলাবের সাথে কথা হয় রাজিব আহমেদের। কথোপকথনে ছিলেন নুরুল ইসলাম।
দৈনিক ইনকিলাব: ই-কমার্স সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু বলুন।
রাজিব আহমেদ: ই-কমার্স হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক কমার্স বা ইন্টারনেটকে ব্যবহার করে ব্যবসা-বাণিজ্য করাকেই ই-কমার্স বলা হয়। অর্থাৎ ইলেক্ট্রনিক প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে হোক কিংবা ফেসবুকে হোক, এমনকি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যদি কোন ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করা হয় সেটাকেই মূলত ই-কমার্স বলা হয়। অনলাইন শপগুলো ই-কমার্সের প্রধান খাত। এছাড়া বেশ কিছু সাপোর্টিং খাতও রয়েছে, যেগুলোকে ই-কমার্স সহায়ক বা ই-কমার্স অ্যানাবেলার বলা হয়। অ্যামাজন এবং আলিবাবা দু’টি সফল ই-কমার্স কোম্পানির নাম, যাদের পরিচিতি বিশ্বব্যাপী। বাংলাদেশে ই-কমার্স দেরিতে শুরু হলেও এখন ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ফলে প্রচুর কর্মক্ষেত্রও সৃষ্টি হচ্ছে। আগামী দিনে এটি হবে একটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় ক্যারিয়ার।
দৈনিক ইনকিলাব: আপনি কীভাবে এই সেক্টরের সাথে সম্পৃক্ত হলেন?
রাজিব আহমেদ: ১৯৯৪ সাল থেকে আমি বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করি। এই সুবাদে নিয়মিত দেশ বিদেশের বিভিন্ন খবর পড়তাম। ২০০০ সালের দিকে ইন্টারনেট ও বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে ই-কমার্সের সাথে পরিচিত হই এবং এ বিষয়ে আমার আগ্রহ তৈরি হয়। তখন বিভিন্ন কম্পিউটার ম্যাগাজিনেও লিখতাম। ২০০০ সালের ফেব্রæয়ারিতে কম্পিউটার বিশ্ব, তারপর মে মাসে কম্পিউটার বিচিত্রাতে বাংলাদেশের ই-কমার্সের উপর প্রচ্ছদ প্রতিবেদন লেখি। ২০০৩ সালের দিকে একজন বন্ধুকে নিয়ে একটি অনলাইন শপ দেওয়ার চেষ্টা করি। তবে তখন কুরিয়ার ও পেমেন্টসহ নানা ধরনের সমস্যার কারণে প্রজেক্ট করতে পারলেও শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়। এরপরও আমি থেমে যাইনি। ই-কমার্স নিয়ে আমার আগ্রহও কমেনি। এটা নিয়ে লেখালেখিটাও অব্যাহত ছিল। ২০১৪ সালে যখন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা ই-ক্যাব করার উদ্যোগ নেওয়া হয়, তখন এর পিছনে যারা ছিলেন সবাই আমাকে সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ করেন। সেই থেকে আমি ই-ক্যাবের সঙ্গে এবং বাংলাদেশের ই-কমার্স সেক্টরের সাথে ওঁতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছি।
দৈনিক ইনকিলাব: নির্ভরযোগ্যতা ও স্থায়িত্বের বিচারে ক্যারিয়ার হিসেবে ই-কমার্স কেমন?
রাজিব আহমেদ: নির্ভরযোগ্যতা ও স্থায়িত্বের বিচারে ক্যারিয়ার হিসেবে ই-কমার্স একটি খুবই ভালো সেক্টর। যারা ক্যারিয়ার হিসেবে ই-কমার্সকে গ্রহণ করতে চায়, তাদের কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। নির্ভরযোগ্যতা ও স্থায়িত্বের বিচারে যে বিষয়টিতে প্রাধান্য দিতে হয় সেটি হলো অনলাইন নির্ভর ব্যবসা হওয়ায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত কর্মী ছাঁটাই বা পরিবর্তন করতে চান না। অনলাইনের কোন কাজ দীর্ঘদিন ধরে এক বা একাধিক কর্মী দ্বারা পরিচালিত হলে ভালো, কেননা সেটি নতুন কর্মীর আয়ত্বে আনতে বেশ জটিল ও সময় সাপেক্ষ হয়ে দাঁড়ায়। আর বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদশেও বড় বড় সকল স্থানীয় ব্যবসায়ই ই-কমার্সে যোগ দিচ্ছে বা রূপান্তর হচ্ছে। এসব দিক বিবেচনা করলে ক্যারিয়ার হিসেবে ই-কমার্স অনেক এগিয়ে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব: কারা এই সেক্টরে ভালো করতে পারবে?
রাজিব আহমেদ: ই-কমার্স হচ্ছে সাধারণ ব্যবসায় পদ্ধতির সাথে প্রযুক্তির সমন্বয়ে একটি অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা পদ্ধতি। তাই যারা সাধারণ ব্যবসার বিভিন্ন দিক জানার পাশাপাশি অনলাইনের বিভিন্ন খুঁটিনাটি দিকগুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখবেন, তারা এই সেক্টরে ভালো করতে পারবেন। যারা মার্কেটিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, তাদের অনলাইন মার্কেটিংয়ে ভালো করতে পারবেন, যারা সাপ্লাই চেইন বা প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, তাদের অনলাইন সাপ্লাই চেইন বা প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টে ভালো করতে পারবেন, আর যারা স্টোর ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়া শোনা করেছেন, তাদের ই-কমার্স ওয়েব স্টোর ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলেই, তারা খুব সহজে এই সেক্টরে ভালো করতে পারবেন। যেহেতু ই-কমার্স সেক্টরটি পুরোপুরি অনলাইন নির্ভর এক্ষেত্রে ব্যবসার সকল সাধারণ কার্যাবলীর একটি অনলাইন সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, যারা সাধারণ পদ্ধতি বা নিয়মের পাশাপাশি অনলাইন নির্ভর কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখবেন, তারাই এই সেক্টরে ভালো করতে পারবেন।
দৈনিক ইনকিলাব: এখানে খÐকালীন কাজের সুযোগ কতটুকু?
রাজিব আহমেদ: যে কোন দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সাধারণত সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে, কিন্তু একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান প্রায় ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে। একজন ব্যক্তির পক্ষে কখনোই ২৪ ঘণ্টা একটানা কাজ করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে পিক-আওয়ারগুলোতে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালিত হলেও অফ-পিক আওয়ারগুলোতে প্রচুর খÐকালীন কাজের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া এখানে ওয়েবসাইটে প্রোডাক্ট আপলোড, কনটেন্ট লেখা, বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট তৈরি ও আপডেট করা, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, অনলাইন কাস্টমার সাপোর্ট, প্রোডাক্ট ডেলিভারিসহ প্রচুর কাজের ক্ষেত্র রয়েছে। ফলে নিয়মতি কাজের পাশাপাশি এখানে অনেক খÐকালীন কাজেরও সুযোগ আছে। এছাড়াও ই-কমার্সে বেশ কিছু কাজ আছে, যেগুলো সব সময়ের জন্য প্রয়োজন পড়ে না। এসব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত লোক নিয়োগের চেয়ে খÐকালীন লোক নিয়োগ দিতে পছন্দ করে। কারণ এতে তাদের খরচ অনেক কম হয়।
দৈনিক ইনকিলাব: এই পেশায় আয়-রোজগার কেমন হতে পারে?
রাজিব আহমেদ: ই-কমার্সের দু’টো দিক রয়েছে। একদিকে এই সেক্টরের একজন উদ্যোক্তা হয়ে যেমনি সফল ব্যবসায়ী হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তেমনি এখানে বিভিন্ন পদে চাকরি করা সুযোগও আছে। যেহেতু ব্যবসায় লাভ লোকসান দু’টোই থাকে, তাই উদ্যোক্তা হলে সফল হওয়ার সুযোগের পাশাপাশি ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কাও কিছুটা থাকে। তবে বর্তমান সময়ে সঠিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারলে লোকসানের সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। উদ্যোক্তাদের আয়ের সাধারণত কোন হিসেব করা যায় না। কারণ এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে ব্যবসার পরিধি ও ব্যবসা পরিচালনার উপর। অন্যদিকে ই-কমার্স সেক্টরে বিভিন্ন পদে চাকরি করার সুযোগ তো আছেই। এক পরিসংখ্যানে জানা গেছে, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ই-কমার্সের মাধ্যমে আগামী ১০ বছরে দুই কোটি নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং চীনে ইতোমধ্যেই এক কোটি লোক কাজ করছে। আর বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এটি নতুন হলেও আস্তে আস্তে তা জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আর ই-কমার্স সেক্টরে অনেকগুলো পদ আছে, যেখানে আপনি আপনার যোগ্যতানুসারে কাজ করতে পারবেন। পদ ভেদে এখানে দশ হাজার টাকা থেকে শুরু করে লক্ষাধিক টাকা বেতনে চাকরি করা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব: নবীনদের আপনি কীভাবে ই-কমার্স শেখার পরামর্শ দিবেন?
রাজিব আহমেদ: নবীনদের প্রতি আমি বলব যে, আপনি এই সেক্টরে উদ্যোক্তা হন বা চাকরি করতে চান- যেটাই করুন না কেন আগে অন্তত ছয় মাস থেকে এক বছর এই বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করুন অথবা প্রশিক্ষণ নিন। এ ক্ষেত্রে ই-ক্যাবের একটি বøগ (যঃঃঢ়://নষড়ম.ব-পধন.হবঃ/) রয়েছে যেখানে ৪০০টি আর্টিকেল রয়েছে ই-কমার্সের বিভিন্ন দিক নিয়ে এবং প্রায় সব আর্টিকেলই বাংলায় লেখা। এছাড়া ই-ক্যাবের একটি ফেসবুক গ্রæপ (যঃঃঢ়ং://িি.িভধপবনড়ড়শ.পড়স/মৎড়ঁঢ়ং/ববঈঅই/) রয়েছে যেখানে প্রায় ৮৫,০০০ এর মতো সদস্য রয়েছে এবং ই-কমার্স নিয়ে যেকোনো প্রশ্নের উত্তর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাওয়া যায়। এই দুইটি রিসোর্সকে আমি অবশ্যই গুরুত্ব দিতে বলব। এছাড়া আরও ভালো হয় যদি কোন ই-কমার্স কোম্পানিতে ইন্টার্নশিপ করা যায়। এছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব থেকে শেখা যেতে পারে। কেউ চাইলে ফেইসবুকে একটি পেইজ খুলে বিষয়টি শেখার, জানার ও বোঝার চেষ্টা করতে পারেন।
দৈনিক ইনকিলাব: ই-কমার্সের সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ কেমন?
রাজিব আহমেদ: বাংলাদেশে ই-কমার্সের সম্ভাবনা এবং ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল। যত দিন যাবে ই-কমার্স ততই বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশে এখন যাদের বয়স ৪০ এর নিচে, তারা ইন্টারনেট, কম্পিউটার, স্মার্টফোন ব্যবহারে অভ্যস্ত। ফলে তারা অনলাইনে পণ্য কিনতে চেষ্টা করেন, কারণ তারা সময়ের মূল্য বোঝেন। তাদের কাছে স্বাচ্ছন্দ্যটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের মূল চ্যালেঞ্জটা হচ্ছে সেই বিকাশ যাতে সুষ্ঠুভাবে হয়, সেটা নিশ্চিত করার জন্যে সরকার এবং ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোকে এক যোগে কাজ করে যেতে হবে। ই-কমার্সকে আস্তে আস্তে বড় শহর থেকে গ্রামে বিস্তার করতে হবে কারণ গ্রামেই ই-কমার্সের সবচেয়ে বড় বাজার। গ্রামের মানুষ অনলাইনে পণ্য ক্রয় ও সেবা গ্রহণ করা শুরু করলে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা রাতারাতি বদলে যাবে। অত্যন্ত আনন্দের বিষয় এই যে, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে, যার অন্যতম ভিত্তিই হচ্ছে ই-কমার্স। আর সে কারণেই ই-কমার্স খাতের উন্নয়নে সরকার এখন যথেষ্ট মনোযোগী হয়েছে। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ডাক বিভাগ ই-কমার্স সার্ভিস চালু করেছে। ই-ক্যাব ইতোমধ্যেই ই-কমার্স পলিসির একটি খসড়া আইসিটি বিভাগের কাছে জমা দিয়েছে। আশা করছি যে, ই-কমার্স সম্পর্কিত আইন এই বছরের মধ্যেই চলে আসবে। এছাড়া গত বছরে সরকার ই-কমার্স থেকে ভ্যাট তুলে নিয়েছে। প্রথমবারের মতো সরকার ই-কমার্সকে আলাদাভাবে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে যে, আসন্ন বাজেটেও ই-কমার্স খাতের উন্নয়নের জন্যে ভালো বরাদ্দ থাকবে। এর পাশাপাশি ট্রেড লাইসেন্সে ই-কমার্স নামে আরেকটি নতুন ব্যবসার ক্যাটাগরি অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে, যা চলতি বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব: এই কাজে আগ্রহীদের কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে?
রাজিব আহমেদ: প্রথম যে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে তা হচ্ছে, মনে রাখতে হবে এটি আসলে একটি টেকনিক্যাল দিক। তাই এখানে হুজুগে নামবেন না। হুজুগে নামলে আসলে লাভের থেকে লোকসান হবে বেশি। খুব আকর্ষণীয় বা চটকদার বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পা দিবেন না। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর বøগ এবং ফেসবুক পেজে সক্রিয় থাকলে প্রয়োজনীয় প্রায় সকল তথ্যই আপনি বিনামূল্যে পাবেন। ই-ক্যাব ফেসবুক গ্রæপে পোস্টগুলোতে যদি কমেন্ট করে সক্রিয় থাকতে পারেন এবং তার মাধ্যমে এই সেক্টরের অনেকেই আপনাকে চিনে যাবে। আর তা হলে আপনার ক্যারিয়ারের সমস্যা হবে না। আর যে কোন জায়গা থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া বা এ বিষয়ক ডিভিডি কেনার ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন