সিলেট অফিস : সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ভারপ্রাপ্ত মেয়র পদ নিয়ে জটিলতার অবসান ঘটার সম্ভাবনার দেখা মিলছে অবশেষে। ভারপ্রাপ্ত মেয়রের পদ নিয়ে সিসিকের প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদী এবং প্যানেল মেয়র-২ সালেহ আহমদ চৌধুরীর দায়েরকৃত দুটি রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ যে রায় দিয়েছেন, তার প্রেক্ষিতে ১৫ দিনের মধ্যে নির্ধারিত হবে কে হচ্ছেন সিসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়র। এমনটাই জানিয়েছেন সিসিকের প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমদ চৌধুরী।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় সিলেট নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে কয়েস লোদী আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান অ্যাডভোকেট মোস্তাক।
তিনি বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদীর দায়েরকৃত রিট পিটিশন এবং প্যানেল মেয়র-২ সালেহ আহমদ চৌধুরীর দায়েরকৃত রিট পিটিশন একত্রে শুনানি শেষে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৫ সালের ৬ মে যে রায় প্রদান করেন, সেই রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি গত ২২ ফেব্রæয়ারি আমরা হাতে পেয়েছি। এডভোকেট মোস্তাক বলেন, বিচারপতি নাঈমা হায়দার এবং বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম কর্তৃক দেয়া রায়ে গুরুত্বপূর্ণ ৮টি পয়েন্ট রয়েছে। রায়ের কপির ১৫নং পেইজে বলা হয়েছে- ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য লোদীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল। তবে প্যানেল মেয়র লোদী যেহেতু কখনো মেয়রের দায়িত্ব পালন করেননি, সেহেতু তার ক্ষমতা অপব্যবহারের সুযোগই ছিল না। অধিকন্তু, কাউন্সিলর হিসেবেও ক্ষমতা অপব্যবহারের কোন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে নেই। রায়ের ১৬নং পেইজে বলা হয়েছে- লোদীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোনো তদন্ত হয়নি এবং কারণ দর্শানোর নোটিশও জারি করা হয়নি। তিনি বলেন, প্রদত্ত রায়ের ১৬নং পেইজে আরো বলা হয়েছেÑকয়েস লোদীর প্যানেল মেয়র পদবী ব্যবহারে আইনে কোনো বাধা নেই। অধিকন্তু, প্যানেল মেয়র পদবী আইনেরই সৃষ্টি। রায়ের ১৯নং পেইজে বলা হয়েছেÑপ্যানেল মেয়র কয়েস লোদীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান আইনের ১৪ ধারা অনুসরণ করা হয়নি। লোদীর আইনজীবী এডভোকেট মোস্তাক আরো বলেন, যে রেজুলেশনে কয়েস লোদীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়, সেই রেজুলেশন বিদ্যমান আইনের ৫৭ ধারা অনুসারে ১৪ দিনের মধ্যে অনুমোদন করতে হবে। কিন্তু ২০১৪ সালের ১০ জুন গৃহিত রেজুলেশনটি ওই বছরের ১৮ ডিসেম্বর অনুমোদন করা হয়। রিট চলাকালে এই অনুমোদনকে আদালত ভৎসর্না করে এটিকে আইনের প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ বলে অভিহিত করেছেন।
পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি আগামী ২৯ ফেব্রæয়ারি নাগাদ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পৌঁছবে জানিয়ে অ্যাডভোকেট মোস্তাক জানান, এর পর থেকেই আদালতের আদেশকৃত ১৫ দিন শুরু হবে। এ সময়ের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সিলেট সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের বিষয়টি নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে। সাংবাদিক সম্মেলনে এর আগে প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন সিসিকের প্যানেল মেয়র-১ রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন