চট্টগ্রাম ব্যুরো : মিথ্যা ঘোষণায় সুতার আড়ালে চট্টগ্রাম বন্দরে আনা ৪৭০ কার্টন বেনসন সিগারেট জব্দের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন- আমদানিকারকের স্থানীয় এজেন্ট সাকী শিপিং লাইন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনোয়ার শওকত আফসার, ব্যবস্থাপক মো. শফি এবং কর্মচারী নাসির ও ইকবাল।
এই মামলায় অন্য দুই আসামি হলেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এফআরসি নিট কম্পোজিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এফ আর চৌধুরী ও কর্মচারী রনি। গতকাল (শুক্রবার) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবদুল কাদেরের আদালতে গ্রেফতার চারজনকে হাজির করা হয়। আসামি পক্ষের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, আমরা জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেছেন। আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে সাকী শিপিং লাইন্সের এমডি আনোয়ার শওকত অসুস্থ হওয়ায় তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বন্দরের ইয়ার্ডে রাখা একটি কন্টেইনার থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সহায়তায় ‘কায়িক পরীক্ষা’ শেষে ৪৭০ কার্টন বেনসন সিগারেট জব্দ করে র্যাব-৭ চট্টগ্রামের একটি বিশেষ টিম। র্যাব-৭ এর উপ-অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর জানিয়েছিলেন, গাজীপুরের এফআরসি নিট কম্পোজিট নামের একটি প্রতিষ্ঠান গার্মেন্টস পণ্য ঘোষণা দিয়ে বিদেশ থেকে এসব সিগারেট নিয়ে আসে।
সিগারেট আটকের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান বাদি হয়ে একটি মামলা করেন। বন্দর থানায় করা ওই মামলায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (বি) ধারা, মানিং লন্ডারি এবং শুল্ক আইনে ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এধরণের পণ্য আমদানি সংক্রান্ত মামলা করছি। এ মামলাটি রহস্যাবৃত্ত মনে হচ্ছে। পণ্যের আমদানিকারক এবং সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টকে আটক না করে শিপিং এজেন্টকে আটক করা হলো। শিপিং এজেন্ট তো ভাড়ায় কাজ করে। মিথ্য ঘোষণায় পণ্য আনাতে কেউ জড়িত থাকলে সেটা আমদানিকারক ও শিপিং এজেন্ট। তাদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে।
এদিকে গতকাল বিকেলে জামিন আবেদনের শুনানি শেষে চার আসামিকে কারাগারে নেয়ার সময় ছবি তুলতে গেলে আনোয়ার শওকত আফসারের আইনজীবী ও সঙ্গে থাকা লোকজন আলোকচিত্র সাংবাদিকদের বাধা দেয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন