কেরানীগঞ্জে আহত শিক্ষক কহিনুর আলম হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকার কেরানীগঞ্জে যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে মানুষ গড়ার কারিগর এক অসহায় স্কুলশিক্ষক ১১দিন ধরে হাসপতালের বেডে কাতরাচ্ছেন। এ ঘটনায় যুবলীগ নেতা রায়হান আহমেদ জিলানীসহ ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মডেল থানায় মামলা হলেও এখনো কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ। বীরদর্পে যুবলীগ নেতাসহ অন্যান্য আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করায় এলকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মামলা করেও এখন ওই শিক্ষকের পরিবার যুবলীগ নেতার হুমকিতে চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। গতকাল (শুক্রবার) সকালে সরেজমিন প্রতিবেদনে তারানগরের বটতলী এলাকায় গেলে মামলার বাদী মো. জহিরুল ইসলাম জানান, মডেল থানার তারানগর ইউনিয়নের বটতলী নতুন হাটি গ্রামে আমাদের জমিতে গত ২১ ফেব্রæয়ারি দুপুরে আমি ও আমার বড় ভাই বটতলী সিরাজ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কহিনুর আলম (৫৮), ভাতিজা হাসিবসহ (১৮) পাঁচজনে কৃষিকাজ করতেছিলাম। এসময় পূর্ব শত্রæতার জেরধরে তারানগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রায়হান আহমেদ জিলানীর নেতৃত্বে ১০-১২ জন যুবক ধারাল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর অতির্কিতভাবে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। তারা এসময় চাপাতি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে, লোহার রড ও লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আমাকেসহ বড় ভাই কহিনুর আলম, ভাতিজা সিহাব, সামসুল আরেফিন পলাশ (২৯) ও বিল্লাল হোসেনকে (৪০) গুরুতর জখম করে। আমাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে আমাদের পাঁচজনকে দ্রæত এলাকাবাসী উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আমিসহ চারজন পাঁচদিন সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার পর বাড়ি ফিরি। কিন্তু আমার বড় ভাই স্কুলশিক্ষক কহিনুর আলম গুরুতর জখম হওয়ায় সে দীর্ঘ আটদিন সেখানে চিকিৎসাধীন থাকেন। পরে তাকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১৮ ফেব্রæয়ারি আমার বড় ভাই মডেল থানায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে একটি জিডি করেন। থানায় জিডি করার তিন দিন পরেই পরিকল্পিতভাবে যুবলীগ নেতা রায়হান আহমেদ জিলানীর নেতৃত্বে আমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। গত ১৮ ডিসেম্বর তারানগর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বড় মনোহরিয়া এলাকা থেকে যুবলীগ নেতা রায়হান আহমেদ জিলানীর এক সহযোগী দু’টি অস্ত্রসহ র্যাব-২ এর হাতে আটক হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শাহীন মোল্ল্যার কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের দ্রæত গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন