পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনে পুনর্নির্বাচনের দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিএনপির প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন আকন (ধানের শীষ)।
আজ সোমবার দুপুরে তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। এসময় তার সাতজন কর্মী-সমর্থকদের আইনশৃংখলা বাহিনী আটক করেছে বলে দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর হোসেন আকন আরো বলেন, আজ সোমবার সকাল থেকে এ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নানা প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও প্রধান নির্বাচন কমিশন ও পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের আশ্বাস পেয়ে আমি বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে এ নির্বাচনে অংশ নেই। কিন্তু তার বাস্তবায়ন ঘটেনি।
নির্বাচনী প্রচারণা থেকে শুরু করে আমার কর্মী-সমর্থকদের উপর ব্যাপক হামলা চালানো হয়েছে। সাধারণ জনগণের সমর্থন থাকায় আমি নির্বাচনী মাঠ থেকে উঠে আসেনি। কিন্তু নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে দেখি বহিরাগতে গোটা উপজেলা ছেয়ে গেছে। বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকিস্বরূপ ইঙ্গিত করা হয়েছে। এ উপজেলায় মোট ৩০টি কেন্দ্র ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু একটিমাত্র কেন্দ্র আমলীবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যতিত সবকটি কেন্দ্র দখল করে নেয় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও তার দলীয় ক্যাডাররা। এর আগে ৩ মার্চ গত শুক্রবার মৌডুবি বাজারে নির্বাচনী পথসভায় আওয়ামী লীগের হামলায় আমার প্রায় ৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও আইন শৃংখলা বাহিনাীকে অবহিত করলে তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। উল্টো অন্যায়ভাবে তারা উপজেলা বিএনপি সভাপতি কবির হোসেন তালুকদার, মোশারফ, আবু সালেহ, রিপন, মাইনুল ইসলাম, এবং জাকির প্যাদা নামে সাত জন কর্মী-সমর্থকদের আটক করেছেন। এছাড়াও কেন্দ্র থেকে আমার লোকজনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
তাই বর্তমান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চলমান নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।
রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ শামসুল আরেফীন জানান, বিএনপির প্রার্থীর কোনো নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়নি এবং নির্বাচন নিয়ে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন