চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার পাহাড়তলী বাজারে প্রস্তাবিত ফায়ার স্টেশনের নির্ধারিত স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। গত রবিবার মধ্যরাত ১২:৪৫ টার দিকে সংগঠিত হওয়া এই ঘটনায় বাঁশের বেড়া, ছাটা ও সেনিটারী ম্যাটার তৈরির কারখানা সম্পূর্ণ ভষ্মিভুত হয়ে গেলেও স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় ঘটনাসংলগ্ন কারাত কল, গরুর খামার রক্ষা পায়। এই সময় পুরো বাজার জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন দিগবিদিক ছুটাছুটি করে। বিড়ি সিগারেট বা কয়েলের আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করেন ঘটনাস্থলে উপাস্থিত স্থানীয় চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন নোয়াপাড়া ফাঁড়ির এস.আই জাবেদসহ স্থানীয় লোকজন। এই ঘটনায় ক্ষতির পরিমান প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকা বলে ধারণা করা হয়।
স্থানীয় চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন জানান, বাজারে অবস্থান করা অবস্থায় আগুণের লেলিহান শিখা দেখে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। এসময় বিদ্যুৎ অফিস ও ফায়ার স্টেশনে ফোন করে সংবাদ প্রেরণ করি। স্থানীয়দের ঘন্টাখানেক প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও ফায়ার সার্ভিসের দেখা মেলেনি। তিনি আরো জানান, রাউজানের উত্তরাংশে রাঙ্গামাটি সড়কে ফায়ার স্টেশন স্থাপিত হলেও দক্ষিণাংশে কাপ্তাই সড়কের এই স্থানেই ফায়ার স্টেশন স্থাপনের জন্য নির্ধারণ করা রয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী সৈয়দ আহমদ রুবেল জানান, উপজেলার মধ্যে পাহাড়াতলী ও নোয়াপাড়া বাণিজ্যিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইদানিং এই স্থান সমুহে সংগঠিত হওয়া অগ্নিকান্ডে সবকিছু পুড়ে যাওয়ার পর দূরত্ব ও নানা কারনে ফায়ার সার্ভিসের দেখা মিলে। তাই এখানে প্রস্তাবিত ফায়ার স্টেশনটি বাস্তবায়ন হলে ব্যবসায়ীমহলসহ স্থানীয়রা স্বস্তি বোধ করবে। এসময় উপস্থিত আতঙ্কিত জনতারা প্রস্তাবিত ফায়ার সার্ভিস দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন