মোরেলগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে তরুণলীগ ও ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বিশারীঘাটা গ্রামে আনোয়ার মাতব্বরের বসতবাড়ি ও দোকানে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৭জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, রাতে আনোয়ার মাতুব্বরের বাড়িতে হামলার খবর ছড়িয়ে গেলে এলাকার শ’শ’ লোক এসে হামলাকারিদেরকে গণপিটুনি দিয়ে বিশারীঘাটা বাজারের একটি ফাকা ঘরে আটক করে রাখে। খবর পেয়ে থানার ওসি(তদন্ত) তারক বিশ্বাস, এসআই নজরুল ইসলামসহ পুলিশের পৃথক দুটি দল ওই হামলাকারীদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। একটি মোবাইল ফোন চুরির কাহিনী সৃষ্টি করে এই হামলার ঘটনা ঘটানো হয় বলে জানা গেছে।
হামলায় আনোয়ার মাতব্বর(৬৫), তার স্ত্রী পারুল বেগম (৪৫), হেলাল মাতব্বর(২৫), বেল্লাল মাতব্বর(২৮), শ্যামলী বেগম(৪০), হাফিজুল খান(২৮), প্রতিবন্ধী যুবক রাজু(১৫) ও রিয়াজ (১২) নামের এক ছেলে আহত হয়েছে। এদের মধ্যে পারুল বেগম ও রিয়াজকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আনোয়ার মাতব্বরের ছেলে হেলাল মাতব্বর রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পৌর তরুণলীগের সভাপতি মিরাজ ফকির এ মামলার প্রধান আসামি। হামলাকারীরা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ ২লাখ টাকার মালামাল লুটপাট ও তছনছ করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ওসি রাসেদুল আলম বলেন, এ ঘটনায় ১১জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। প্রধান আসামি মিরাজ ফকিরসহ ৯জন আটক আছে। ভুলে আটক হওয়া ১জনকে তার অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতরা নিজেদেরকে ছাত্রলীগ ও তরুণলীগের নেতাকর্মী বলে দাবি করেন।
এ সম্পর্কে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ওবায়দুল ইসলাম টিটু বলেন, আটককৃতরা ছাত্রলীগের কেউ নন। তবে ‘তরুণলীগের’ উপজেলা সভাপতি মনিরুজ্জামান বিজয় বলেন, মিরাজ ফকির পৌর তরুণলীগের সভাপতি। অন্যরা ছাত্রলীগ ইব্রাহীম ফরাজী গ্রুপের লোক। পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রাজ্জাক শেখ বলেন, আটককৃতরা কেউ ছাত্র নয় এবং ছাত্রলীগেরও কেউ নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন