রাজশাহী ব্যুরো : ‘আহলেহাদীস আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর আমীর প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব বলেছেন, অনেকে ছালাতে রাফাদানী হলেও আক্বীদায় ‘আহলেহাদীস’ নয়। কেননা প্রকৃত ‘আহলেহাদীস’ সর্বদা মধ্যপন্থী। তারা যেমন শৈথিল্যবাদী নয়, তেমনি চরমপন্থীও নয়। কেউ কেউ বিজাতীয় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মতবাদের অনুসারী হলেও ধর্মীয় আক্বীদার দিক দিয়ে তারা চরমপন্থী বা জঙ্গিবাদী নয়। অনেকে আক্বীদা মযবুত হওয়ার আগেই হয়তবা কোন ক্ষমতালোভী দলের বা স্বার্থান্ধ ব্যক্তির খপ্পরে পড়ে যায়। ফলে সে তখন আর ‘আহলেহাদীস’ থাকে না। গতকাল আহলেহাদীসের ২৬তম তাবলীগ ইজতেমার শেষদিনে সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ইজতেমায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীসের আলোকে দেশের আইন ও শাসন ব্যবস্থা চালু করতে হবে এবং মানুষের রক্তচোষা সূদভিত্তিক পুঁজিবাদী অর্থব্যবস্থা বাতিল করতে হবে, জাতি বিভক্তির প্রচলিত নেতৃত্ব নির্বাচন ব্যবস্থা বাতিল করে দল ও প্রার্থীবিহীন নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে হবে, ৯০% মুসলমানদের এই দেশে ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষানীতি জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য এবং সাধারণ শিক্ষার সকল স্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার জন্য এ সম্মেলন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে, সহশিক্ষা পদ্ধতি বাতিল করে ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অথবা পৃথক শিফটিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে, দেশের সকল অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে ছবি টাঙ্গানো এবং বিভিন্ন দিবস পালন ও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন বাধ্যতামূলক করা হতে বিরত থাকতে হবে, শিশু নির্যাতন ও শিশু হত্যা বন্ধে দ্রুত ও কঠোর আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, পর্ণোগ্রাফী সহ পরিবার ও সমাজ বিধ্বংসী সকল ওয়েবসাইট ও টিভি চ্যানেলগুলির সম্প্রচার বন্ধ করা এবং মোবাইল কোম্পানীগুলিকে কঠোরভাবে মনিটরিং করতে হবে, থার্টি ফার্স্ট নাইট, ভালোবাসা দিবস, বর্ষবরণ, বেদি ও মিনার পূজা ইত্যাদি অপসংস্কৃতি এবং সর্বত্র মূর্তি সংস্কৃতি চালুর অপচেষ্টা বন্ধ করতে হবে, পদ্মা, তিস্তা ও সুরমা সহ দেশের বৃহৎ নদীগুলিকে পানিশূন্য করার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করার জন্য ও সুন্দরবন ধ্বংসের পাঁয়তারা থেকে বিরত থাকার জন্য এবং সর্বোপরি বিদেশের সাথে যেকোন চুক্তি করার ক্ষেত্রে নিজ দেশের স্বার্থ অক্ষুণœ রাখার জন্য এ সম্মেলন সরকারের প্রতি আবেদন জানানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন