স্টাফ রিপোর্টার : অপহৃত এক কিশোরীকে উদ্ধার করতে গিয়ে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা সাজেন্টকে থানায় নিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর কদমতলী থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার সার্জেন্টের নাম আবুল বাশার দুলাল (৪০) যাত্রাবাড়ীর দনিয়া গোবিন্দপুরে ৯৫ নম্বর বাড়ির মালিক। থানা থেকে ছাড়া পেয়ে আহত দুলাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ভূক্তভোগীর ভায়রা শামিম আহম্মেদ সাংবাদিকদের জানান শুক্রবার রাত ৩টার দিকে টিনের চালার উপর লোকজনের হাটাহাটির শব্দ শুনে দুলাল ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে চিৎকার করেন। পরে সাদা পোশাকে পুলিশ টিনশেড ঘরে ঢুকে এক মেয়েকে ধরে নিয়ে যায়। তার সঙ্গে দুলালকেও থানায় নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে দুলালের আত্মীয়রা থানায় গিয়ে দুলালকে মুচলেখা দিয়ে ছাড়িয়ে আনেন। কিছুদিন আগে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে দুই ছেলে-মেয়ে টিনশেডের একটি ঘর ভাড়া নেয় বলে জানান তিনি। ওই বাসায় পুলিশ অভিযান চালাতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটায়।
কদমতলী থানার ওসি ওয়াজেদ আলী জানান, এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে গত নভেম্বরে থানায় একটি মামলা হয়। মেয়েটিকে উদ্ধারের পাশাপাশি মামলার প্রধান আসামি স্থানীয় বখাটে রানাকে (২২) গ্রেফতারের জন্য ঘটনাস্থলে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযান চালানোর সময় সবাইকেই পুলিশের পরিচয় দেওয়া হয় এবং সেখানে পোশাক পরা পুলিশও ছিল। তারপরেও পুলিশের কাজে সহায়তা না করে দুলাল টানা হেঁচড়া করে পুলিশের কাজে বাধা দেয়। আর এই সুযোগে আসামি পালিয়ে যায়। তাকে থানায় আনা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে মারধরের অভিযোগ সত্য নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন