স্টাফ রিপোর্টার ঃ বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের (একাংশের) সভাপতি শওকত মাহমুদকে একটি পুরনো মামলায় ফের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মুগদা থানার বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বিএফইউজে। এটি শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে ২৩তম মামলা। বিএফইউজে জানায়, এর আগে ২২টি মামলায় তিনি দীর্ঘ ৬মাস আইনী লড়াই করে সব কমিটিতে জামিন লাভ করেন। যে কোনো মুহূর্তে তার মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। মুক্তি ঠেকাতে নতুন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো। কয়েক দিন আগে একইভাবে মুক্তির ঠিক পূর্বমুহূর্তে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে শাহবাগ থানার একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে মুক্তির পূর্বমুহূর্তে শওকত মাহমুদকে শ্যোন অ্যারেস্ট করায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুদ্দিন হারুন, মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজে’র সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান। এক যুক্তি বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, বানোয়াট মামলায় শওকত মাহমুদকে আবারও গ্রেপ্তার দেখিয়ে সরকার আইননের শাসনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিনা অপরাধে শওকত মাহমুদকে ছয় মাসের বেশি কারাগারে আটকে রেখে তার প্রতি যে অন্যায় ও জুলুম করা হচ্ছে তা সরকারের মুক্ত গণমাধ্যমবিরোধী ফ্যাসিস্ট চরিত্রেরই বহি:প্রকাশ। বিবৃতিতে বলা হয়, দীর্ঘ ছয় মাসেরও বেশী সময় কারাবন্দী থেকে গুরুতর অসুস্থ সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদের শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী ফেরদৌসী মাহমুদ। শুক্রবার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে সাক্ষাৎ করে ফেরদৌসী মাহমুদ জানান, সব মামলায় জামিন পাওযার পর তিনি মুক্তির প্রহর গুনছিলেন। সব কিছু গুছিয়ে যখন মুক্তির প্রত্যাশায় উন্মুখ ছিলেন, ঠিক তখন খবর পাওয়া যায় যে মুগদা থানার ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মামলা নম্বর ৯২২/১৫, তারিখ ৬-২-২০১৫। ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনের ৩(৬) ধারায় শওকত মাহমুদ অপরাধ করেছেন বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি, শওকত মাহমুদ হৃদরোগ, কিডনী ও ডায়াবেটিসের রোগী। তার জীবন মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে। গত বছর ১৮ আগস্ট রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির সামনে থেকে শওকত মাহমুদকে আটকের পর এ পর্যন্ত তাকে ২৩টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর ঢাকার বিভিন্ন থানার ২১টি ও কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ২টি রয়েছে। এসব মামলায় তাকে দফায় দফায় রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন