শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

ঘনচিনি দিয়ে বেকারি পণ্য উৎপাদন দুটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নিষিদ্ধ ঘনচিনি দিয়ে বেকারি খাদ্য এবং ভেজাল ও নকল পণ্য তৈরির অভিযোগে রাজধানীর দুটি প্র্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল লালবাগের ভেজাল আচার ও বিস্কুট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ‘আয়শা-আসমা ফুড প্রোডাক্টস’ ও ‘কাজল বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে র‌্যাব-১০-এর তত্ত্বাবধানে এ অভিযান চালানো হয়। র‌্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ সারওয়ার আলমের তত্ত্বাবধায়নে অভিযানে র‌্যাব-১০-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আ.ত.ম. আব্দুল্লাহেল হাদী উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার আলম জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখতে পান যে, ‘আয়শা-আসমা ফুড প্রোডাক্টস’ আচারের অন্যান্য উপাদানের সাথে চিনির পরিবর্তে ঘনচিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেট) ব্যবহার করছে। ঘনচিনি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। এটি বাংলাদেশে ১৯৮২ সাল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আদালত এ ধরণের ভেজাল আচার প্রস্তুত ও বিক্রয় করার অপরাধে ‘আয়শা-আসমা ফুড প্রোডাক্টস’-এর মালিক মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে (৫২) তিন লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। অভিযান পরিচালনার সময় আরও দেখা যায় ‘কাজল বিস্কুট ফ্যাক্টরী’ দীর্ঘদিন ধরে নামিদামি বিস্কুট কোম্পানীর নকল বিস্কুট তৈরি করে সমগ্র বাংলাদেশে বাজারজাত করে থাকে।
অভিযান পরিচালনার সময় প্রতিষ্ঠান সমূহের মালিক ও কর্মচারীরা আদালতকে জানান যে, বাজারে এ সমস্ত নকল বিস্কুট দেশের বিভিন্ন স্থানে পাইকারি দরে সরবরাহ করা হয়।
এ সমস্ত আচার ও বিস্কুট খাওয়ার ফলে ক্রেতা সাধারণ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এমনকি শিশুরা মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়। আদালত ‘কাজল বিস্কুট ফ্যাক্টরী’র ম্যানেজার মঞ্জিল মিয়া (২৭) ও কর্মচারী মোঃ আব্দুল করিম (৬০) কে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। অভিযানকালে বিপুল পরিমাণ ভেজাল আচার প্রস্তুতে ব্যবহৃত ৫৮০ কেজি (২৯ কার্টন) ঘনচিনি জব্দ করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন