স্টাফ রিপোর্টার : দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছরেও বেশি সময় পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ছাত্রলীগে শীর্ষ পর্যায়ের সহ-সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে এসেছেন কোন ছাত্রনেতা। সদ্য ঘোষিত ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির চার নম্বর সহ-সভাপতি হয়েছেন ডা. মো. তোফাজ্জেল হক চয়ন। তিনি এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন। ছাত্রলীগের গত কমিটিতে ছিলেন স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক উপ-সম্পাদক। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ১৯৮১ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন। তখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ আলাদা ইউনিট ছিলনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের অধীনেই পরিচালিত হত। মোস্তফা জালালের পর বেশ কয়েকটি কমিটিতে স্বাস্থ্য সম্পাদকের উপরে কোন পদে আসীন হতে পারেননি ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের নেতারা। ডা. চয়নের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসায় ঢাকা মেডিকেল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে আনন্দ দেখা দিয়েছে।
চয়ন ইনকিলাবকে জানান, উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করার আগেই পারিবারিক ভাবেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতির প্রতি আকৃষ্ট হই। ২০০৬ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির পর ছাত্রদল ও ছাত্র-শিবিরের চোখ রাঙানী উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে মুজিব আদর্শে বিশ্বাসীদের সুসংগঠিত করে ছাত্রলীগের পতাকা তলে এনে একসঙ্গে কাজ করি। সকল বাঁধা মোকাবিলা করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গনে ছাত্রলীগের রাজনীতিকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে দিন-রাত পরিশ্রম করি।
ছাত্রলীগের সদ্য ঘোষিত কমিটির স্বাস্থ্য সম্পাদক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হুমায়ূন ইসলাম সুমন ডা. চয়ন সম্পর্কে বলেন, তাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসীন করায় আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ পরিবার আনন্দিত। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রতি কৃতজ্ঞ।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির প্রত্যেককে তাদের ত্যাগ-তিতিক্ষা ও দক্ষতা দেখেই পদে আসীন করা হয়েছে। ডা. তোফাজ্জেল হক চয়নের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। সে দায়িত্বের প্রতি অনেক নিষ্ঠাবান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন