স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর বাড্ডায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২ শ্রমিক। এ ছাড়া ফকিরাপুলের একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতদের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও মেডিকেল সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার বিকেলে মধ্য বাড্ডার জামতলায় নির্মাণাধীন ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাদশা মিয়া ও মনির হোসেন নামের দুই নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন রাজু হোসেন ও সজিব আহমেদ নামের অপর দুই শ্রমিক। আহত শ্রমিকদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চিকিৎসাধীন শ্রমিক রাজু জানান, গতকাল বেলা ৩টার দিকে জামতলায় একটি নির্মাণাধীন ছয়তলা ভবনের চারতলা থেকে দড়িতে বেঁধে গ্রিল নিয়ে উপরে উঠছিলেন। এ সময় ভবনের বাইরে থাকা বিদ্যুতের তারে তাদের গ্রিলের স্পর্শ হলে তারা বিদ্যুতায়িত হন। এতে তারা আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টার দিকে বাদশা মিয়া ও মনির হোসেনের মৃত্যু হয়। হতাহতরা জামতলায় বৈশাখী ইঞ্জিনিয়ার্স নামক একটি ওয়ার্কশপের কর্মচারী। প্রাথমিকভাবে নিহতদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। এদিকে গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টায় হোটেল ফকিরাপুলের পঞ্চমতলার ৫ নম্বর রুমের দরজা ভেঙ্গে জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পল্টন থানার এসআই জয়নাল আবেদিন জানান, দীঘ সময় রুমের দরজা না খোলায় হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙ্গে মেঝেতে পড়ে থাকা অবস্থায় জাহাঙ্গীরের লাশ উদ্ধার করে।
এসআই জানান, জাহাঙ্গীরের শরীরের কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। গত দেড় মাস ধরে জাহাঙ্গীর হোটেলটিতে অবস্থান করছিলেন। তিনি বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে জানা গেছে। জাহাঙ্গীরের বাবার নাম মৃত হাফিজ উদ্দিন। গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের বরমায়। উভয় ঘটনায় পৃথক পৃথক থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন