বরিশাল ব্যুরো : আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে ঐতিহ্যবাহী চরমোনাই দরবার শরিফের তিনদিন ব্যাপী বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিল শেষ হয়েছে। গতকাল সকাল ৯টায় পীর ছাহেব আলহাজ হযরত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মোঃ রেজাউল করীম মোনাজাত পরিচালনা করেন। এর আগে এবারের মাহফিলের শেষ বয়ানে পীর ছাহেব বাংলাদেশের সকল হক্কানী ওলামায়ে কেরামদের এক প্লাটফর্মে আসার আহবান জানান।
প্রচ- ঝড়Ñবৃষ্টি আর কাদার মধ্যেও মাহফিলের প্যান্ডেলের ভেতর আগত মুসল্লিরা বয়ান শোনেন এবং আখেরি মোনাজাত শেষ করে বাড়ি ফেরেন। মাহফিলে আগত মুসল্লিদের অধিকাংশ নতুন লোক চিশতিয়াÑসাবেরিয়া তরীকায় বয়াত গ্রহন করেন। এর পরে পীর ছাহেব তরীকার নিয়ম নীতি মুরিদানদের বাতলে দেন। বয়ানে পীর ছাহেব চরমোনাই বলেন, যারা আল্লাহ ও রাসুলের নীতি অনুসরণ করে না তারা কেয়ামতের দিনে নবীজী (সা.)’এর সুপারিশ পাবেনা। যারা বয়াত গ্রহণ করেছে পীর ছাহেব তাদের তরীকার পাঁচ ঔষধ ও ছবক ঠিকভাবে পালন করার তাগিদ দেন। পরিপূর্ণ ও সহীহ শুদ্ধভাবে নামাজের জন্য কেরাত শিক্ষা করা ফরজ বলে উল্লেখ করে পীরছাহেব চরমোনাই বলেন, যারা আত্মাকে পবিত্র করতে পারবেন তারাই বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন।
পীর ছাহেব মুরিদানদের ঈমানের উপরে পরিপূর্ণভাবে মজবুত থাকারও নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, আল্লাহ পাকের জিকির অধিক করলে কালবের ময়লা দূর হয়। কালব পরিস্কার হওয়ার একমাত্র পথ জিকির। সুবিধাবাদী নামধারী মুসলমানরাই ইসলাম, মুসলমান, আল্লাহর রাসুল (সা.), কুরআন-হাদীস, মসজিদ-মাদরাসা, দাড়ি-টুপিসহ ইসলামী পোষাক পরিচ্ছদের দুশমন বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের ব্যাপারে সকলকে সজাগ থাকারও তাগিদ দেন।
আখেরী মোনাজাতে পীর ছাহেব বিশ্ব ও মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করেন। তিনি বাংলার জমিনে ইসলামী হুকমত কায়েমের জন্য সকলের সহযোগীতা ও দোয়া কামনা করেন। আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে গোটা এলাকাজুড়ে নদীর আশেপাশে বিস্তির্ণ এলাকা বাগান বাড়ির আঙ্গীনা সহ কোন স্থানেই তিল ধরারও ঠাই ছিলনা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন