ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : দায় কে নিবে ময়লার স্তুুপে পড়ে থাকা ৬ মাস বয়সী (গর্ভের) নবজাতকের লাশটির। এমন নরপিসাস পৃথিবীতে হয়তো আছে যারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। সামান্য টাকার লোভে এ সমাজে অহরহ গর্ভের নবজাতক হত্যার মত ঘটনা ঘটছে। এ অপরাধের স্বাক্ষী যেন একশ্রেণীর কথিপয় ডাক্তার, হাসপাতাল ও বিবেকহীন নরপিসাস। সামান্য ঘটনা ভেবে এ ধরনের অপরাধকে কোনো অপরাধ হিসেবে মেনে নিতেও সমাজের অনেকেই নারাজ। যেখানে অনেক পিতা মাতা একটি মাত্র সন্তানের জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করে। সেখানে নিজেদের দোষ ঢাকতে মানুষ নামের এমন কিছু পশু রয়েছে যারা নিজেদের অপকর্ম বা অঘটনের ফসল গর্ভে ধারণ করে আপন সন্তানকে ডাস্টবিনে ছুঁড়ে ফেলে ধামাচাপা দিয়ে স্বস্তিও নি:শ্বাস ফেলে। সমাজে এধরনের অপরাধে যারা সহযোগিতা করে তারাও কি অপরাধী নয়! প্রশ্ন উৎসুক জনতার। ভৈরবে কিছুদিন পরপরই বিভিন্ন হাসপাতালের পাশে নবজাতকের লাশ পড়ে থাকতে দেখাযায় বলে স্থানীয় লোকজন জানায়। অনেক সময় জীবিত নবজাতক হাসপাতালের গেইট ও ময়লার স্তুপে ফেলে রাখার ঘটনাও ঘটছে। ২৭ ফ্রেরুয়ারি শরিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের নিউটাউন মোড় এলাকায় অবস্থিত মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের সীমানার পশ্চিম পাশে ২গজের মধ্যে ময়লার স্তুপে পড়ে থাকতে দেখা যায় আনুমানিক ৬ মাস বয়সী (গর্ভে) এক নবজাতকের মৃতদেহ। দুর্ভাগা ওই নবজাতকের লাশটি দেখতে হাসপাতালের পিছনে ময়লার স্তুুপের পাশেই প্রচন্ড রোদের মধ্যে ভীর জমায় স্ট্যান্ডের মাইক্রোবাস চালক, পথচারী ও স্থানীয় জনতা। প্রত্যক্ষদর্শী মাইক্রোবাস চালক আলমগীরসহ অনেকেই জানায়, ওই হাপাতালের অপারেশনে ব্যবহৃত পরিত্যক্ত সুই সিরিঞ্জ, গজ কাপড়, স্যানিটারি ন্যাপকিন সহ যাবতীয় বর্জ্য ময়লার ঝুঁিড়তে করে ফেলা হয় এখানে। অনেক সময় জানালা দিয়েও বর্জ্য ফেলা হয় বলে জানান তারা। তাদের ধারণা শনিবার সকালের দিকে হয়ত কেউ নবজাতকটিকে ঢিলছুঁড়ে এখানে ফেলেছে।
এ ব্যাপারে মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: বুলবুল আহম্মদ মুঠোফুনে বলেন, তিনি এ ঘটনা শুনেছেন। এ ধরনের ঘটনায় তার হাসপাতালের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন