মাটিরাঙ্গার মোটরসাইকেল চালক আজিজুল হাকিম শান্ত হত্যাকাণ্ডের এক বছর পর শন্ত হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত অন্যতম আসামী জনি ত্রিপুরা (২৪)-কে গ্রেফতার করেছে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার বেলা সাড়ে ৪টার দিকে মাটিরাঙ্গার সাপমারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জনি ত্রিপুরা মাটিরাঙ্গা ইছাছড়া গ্রামের হরি দয়াল ত্রিপুরার ছেলে।
শান্ত হত্যাকাণ্ডের পরপরই এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী ধন বিকাশ ত্রিপুরাকে গ্রেফতার করে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক ছিলেন অন্যতম আসামী জনি ত্রিপুরা। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক অভিযানের পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইন চার্জ মো. সাহাদাত হোসেন টিটো ও এএসআই মশিউর রহমানের নেতৃত্বে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের একটি বিশেষ দল উপজেলার সাপমারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
প্রসঙ্গত, চারদিন নিখোঁজ থাকার পর গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি মাটিরাঙ্গা উপজেলাধীন রিছাং ঝর্নার কাছাকাছি দুর্গম পাহাড় থেকে মোটরসাইকেল চালক আজিজুল হাকিম শান্ত'র জবাই করা লাশ উদ্ধার করে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ। একই দিন তার বাবা মো. ছালেহ আহাম্মদ বাদী হয়ে মাটিরাঙ্গা থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেন।
এঘটনার পর বাঙ্গালী সংগঠনগুলো উপজাতিয় সন্ত্রাসীদের দায়ী করে সড়ক অবরোধ করে। পরে শান্ত হত্যকারীদের গ্রেফতারের আশ্বাসে সে সময় অবরোধ প্রত্যাহার করে বিক্ষোভকারীরা। হত্যাকাণ্ডের এক বছরের মাথায় হত্যার সাথে জড়িত মুল আসামী জনি ত্রিপুরাকে গ্রেফতার করায় পুলিশ প্রশাসনকে অভিনন্দন জানিয়েছে স্থানীয় পার্বত্য বাঙ্গালী ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ। আলোচিত শান্তহত্যা মামলার অন্যতম আসামী জনি ত্রিপুরার গ্রেফতারকে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশের বড় ধরনের সাফল্য হিসেবে দেখছেন তারা।
এদিকে জনি ত্রিপুরাকে গ্রেফতারের খবরে স্বস্তি প্রকাশ করে পুত্রহত্যাকারীদের সমুচিত শাস্তি দাবী করেছেন নিহত আজিজুল হাকিম শান্তর বাবা মো. ছালেহ আহাম্মদ।
মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইন চার্জ মো. সাহাদাত হোসেন টিটো জনি ত্রিপুরার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন