কেশবপুর উপজেলা সংবাদদাতা : কেশবপুর উপজেলার ভেরচি গ্রামে চুরির অপবাদ দিয়ে এক যুবককে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারপিট করে নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গছে। বর্তমান মুমূর্ষু অবস্থায় ওই যুবক কেশবপুর হাসপাতালের ৪০নং বেডে যন্ত্রনায় ছটফট করছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কাছে একাধিক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভেরচি গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে ইমরান হোসেন (২০) ভেরচি বিলে তার নিজস্ব ২বিঘা জমিতে মৎস্য খামার করে মাছ চাষ করে আসছে। গত ২০ ফেব্রæয়ারি রাতে পাশ্ববর্তী ঘের মালিক হাসান আলী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইমরান হোসেনকে তার ঘেরপাড়ে ডেকে নিয়ে যায়। এ সময় পূর্বপরিকল্পিকভাবে ঘের মালিক আবুল কালামের ঘেরের মাছ চুরির অপবাদ দিয়ে এলাকার মফিজ, মোস্তফা, হাফিজুর, কামরুলসহ ১০/১২ জন যুবক মাছ চুরির স্বীকারোক্তি আদায়ে ইমরান হোসেনকে মারপিট করে ঘেরের পানিতে চুবিয়ে সমস্ত রাত বেঁধে রেখে নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ।
তার পিতা মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলেকে তারা হাত, পা বেঁধে কুড়ালের আছাড় দিয়ে পায়ের তলা, গুড়ালি ও গিটে মধ্যযুগীয় কায়দায় পিটিয়েছে। তার দুপা ফুলে গেছে। চলাফেরা করতে পারছে না। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান এইচএম হাবিব সাংবাদিকদের জানান, ইমরান হোসেন ওই বিলের অনেক ঘেরে বিষ ট্যাবলেট দিয়ে মাছ চুরি করে ক্ষতিসাধন করে আসছিল। গ্রাম্য সালিসে ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ইমরানের ঘেরটি বর্তমান আমার হেফাজতে রয়েছে। কেশবপুর থানার ওসি সহিদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনাটি আমাকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন