শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

এখন থেকে হবে ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন’

পূর্বের নামে ফিরছে নির্বাচন কমিশন

| প্রকাশের সময় : ২৩ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পঞ্চায়েত হাবিব : নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থা নির্বাচন কমিশন পুরনো নামেই ফিরেছে। চার বছর আগে এ প্রতিষ্ঠানটির নাম লেখা হয়েছে নির্বাচন কমিশন, বাংলাদেশ। তা পরিবর্তন করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন লেখা হবে।
গতকাল বুধবার জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ইনকিলাবকে বলেন, এখন থেকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন লেখা হবে। আমাদের সব কাগজপত্রে এটাই লিখছি। নাম নিয়ে এখন কোনো ভিন্নমত নেই; কমিশনও নীতিগতভাবে এটা অনুমোদন করেছে। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন লেখা হলেও বিগত ইসির সময়ে নির্বাচন কমিশনাররা একেক জন একেক নাম লিখে। নাম বিভ্রাট’ নিয়ে সমালোচনাও হয় বিভিন্ন মহলে। বর্তমান কমিশন পুরনো নামে ফিরতে গিয়ে নতুন করে মতবিরোধও তৈরি করে না বলে জানান  ইসি সচিব।
ইসি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ জানান, সংবিধানেও বলা রয়েছে বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে। দেশও একটি, নির্বাচন কমিশনও একটি। এজন্যে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন হবে। বর্তমানেও গেজেট বিজ্ঞপ্তিসহ ইসি সচিবালয়ের বিভন্ন চিঠিতে লেখা হচ্ছে ‘নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশ’ আবার স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কমিশনারদের পুষ্পমাল্য অর্পণের বিজ্ঞপ্তির চিঠিতে লেখা হয়েছে ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন’ একই সময়ে ইসির চিঠিগুলোতে একাধিক নাম ব্যবহার করা হচ্ছে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনের নাম নিয়ে আমাদের কিছু ঝামেলা ছিল। কমিশন সচিবালয় এটি গুরুত্ব সহকারে দেখেছে। এখন থেকে আগের নামে (বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন) সব কিছু লিখা হবে। সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠান স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন হিসেবে পরিচিত হলেও রকিব কমিশন দায়িত্ব নেয়ার এক বছর পর থেকে কমিশনাররাই প্রথম এর পরিচয় ভিন্নভাবে লিখতে থাকেন। নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ ভিজিটিং কার্ডে লিখেছিলেন- ‘ইলেকশন কমিশন ফর বাংলাদেশ’ নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক লিখেছিলেন- ‘নির্বাচন কমিশন’. নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবু হাফিজ ও জাবেদ আলী লিখেছিলেন- ‘বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন’। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কার্ডে নামের পরেই চিফ ইলেকশন কমিশনার, বাংলাদেশ লেখা হয়েছিল।
এর পাশাপাশি গত ২০১৩ সলের জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত নবম জাতীয় সংসদের পরিসংখ্যান প্রতিবেদনের প্রথম পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে ‘নির্বাচন কমিশন, বাংলাদেশ’। তবে কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ecs.gov.bd) পরিচিতিতে বলা হয়েছে ‘বাংলাদশ নির্বাচন কমিশন’। সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও এম সাখাওয়াত হোসেনের ভিজিটিং কার্ডে তাই লেখা ছিল। সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে ‘বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকবে’ বলা রয়েছে। ইসির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ওই অনুচ্ছেদের আওতায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। সে সময় সুশীল সমাজের সঙ্গে ইসির সংলাপে ‘নাম বিভ্রাট’ নিয়ে সমালোচনা ওঠে। পরে সাবেক সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন, এটা কোনো পরিবর্তন নয়, যেমন আছে তেমনি থাকছে। তবে ‘নির্বাচন কমিশন, বাংলাদেশ’ ব্যাকরণগতভাবে ‘সঠিক’ বলে তা ‘শুদ্ধ’ করা হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন