বাকৃবি সংবাদদাতা : বেশ কয়েক বছর ধরেই এশিয়া মহাদেশে ধানের প্রধান প্রধান রোগ দমনে জৈব পদ্ধতির ব্যবহার করে আসছে। ইতোমধ্যেই জৈব পদ্ধতিতে বিভিন্ন ছত্রাকজনিত রোগবালাই সফলতা পেয়েছেন গবেষকরা। ধানের প্রধান তিনটি রোগ ব্যাকটেরিয়াল ব্লাইট, পেনিকেল ব্লাইট ও বাকানি রোগের (ধান গাছের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি) ফলে গাছের সুঠাম বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) বিজ্ঞানী ড.মো. তোফাজ্জল হোসেন ধান গাছের রোগবালাই দমনে নতুন নভেল প্রজাতির উপকারী আন্তঃকোষীয় ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত ও নামকরণ করেন।
আন্তর্জাতিক প্ল্যান্ট প্যাথলজি জার্নালে নতুন ওই গ্রাম পজিটিভ ব্যাকটেরিয়ার (ইধপরষষঁং ড়ৎুুরপড়ষধ) নামকরণ প্রকাশিত হয়েছে। ২৯৯টি প্রজাতির মধ্যে মাত্র ৩০টি নভেল প্রজাতি এবং এটি ৩১তম নতুন নভেল প্রজাতি হিসেবে পরিগণিত হবে যা রোগ প্রতিরোধী উপকারী ব্যাকটেরিয়া।
ড. মো. তোফাজ্জল হোসেন গবেষণার বিষয়ে জানান, কোরিয়ার ড. হোসেন গিয়াংসেং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জংইয়ং রুনের তত্ত্বাবধানে পিএইচডি গবেষণাকালে ব্যাকটেরিয়াটি সনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ব্যাকটেরিয়ার আইসোলেট গুলোর জিন সিকুয়েন্স করে বায়ো-ইনফরমেটিক এনালাইসিস এবং বিভিন্ন শাররীয় এবং রাসায়নিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দুইটি স্ট্রেন এর নয়া নামকরণ করা হয়। ২৫০ টি আন্তঃকোষীয় ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে দুইটি স্ট্রেন ণঈ৭০০৭ ও ণঈ৭০১০ দুটিকে ইধপরষষঁং ড়ৎুুরপড়ষধ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। টাইপ স্ট্রেন কোরিয়ান কালচার সংরক্ষণ সেন্টার ও আন্তর্জাতিক জিন ব্যাংকে সংরক্ষিত রয়েছে। ড. তোফাজ্জল আরও জানান, নতুন প্রজাতির ব্যাকটেরিয়াটি ধানের প্রধান তিনটি রোগ ব্যাকটেরিয়াল ব্লাইট, পেনিকেল ব্লাইট ও বাকানি রোগের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ৬১.২%, ৬৫.২% এবং ৭৮% রোগ কমাতে সক্ষম। ড. আজমল খান ও ড. ইউজিং গবেষণা কার্যে সহযোগিতা করেন। ব্যাকটেরিয়া দিয়ে দেশীয় আবহাওয়ায় উদ্ভিদ রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে কাজ করবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন