রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বাস্থ্য

সারভাইকাল স্পন্ডাইলোসিস

| প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এই অসুখের আরো কিছু নাম আছে। একে সারভাইকাল অস্টিও আর্থ্রাইটিস এবং নেক আর্থ্রাইটিসও বলে। সারভাইকাল স্পন্ডাইলোসিসে ঘাড়ে যে কশেরুকাগুলো থাকে সেখানে ব্যথা হয়। অসুখটি খুবই পরিচিত। বয়সের সাথে রোগটির সম্পর্ক আছে। বয়স যত বাড়ে এটি তত বাড়তে থাকে। তবে বয়স ছাড়া অন্যান্য কারণেও এমনটি হয়। 

৬০ বছরের পরে প্রায় ৮৫ জনের মধ্যে সারভাইকাল স্পন্ডাইলোসিস দেখা যায়। তবে সবার ক্ষেত্রে উপসর্গ প্রকট থাকে না। কারো কারো ক্ষেত্রে প্রকট থাকে। কারো ক্ষেত্রে রোগটি বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়। তখন ব্যথা বেশি হয় এবং ঘাড় শক্ত হয়ে যায়।
সারভাইকাল স্পন্ডাইলোসিসে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যায়। আগেই বলা হয়েছে সবার ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক হয় না। উপসর্গ হঠাৎ শুরু হতে পারে আবার ধীরে ধীরেও হতে পারে। ঘাড়ে ব্যথা হয়। ব্যথা বাহু বা আঙ্গুলের দিকেও আসতে থাকে। হাঁচি, কাশি, ঘাড় নাড়ালে ব্যথা বেশি হয়। কিছু ক্ষেত্রে ঘাড় শক্ত হয়ে যায়। মাথাব্যথা হতে পারে। ভারসাম্যের সমস্যা হয়। অনেক সময় প্র¯্রাব পায়খানাতেও সমস্যা হয়। তখন দ্রæত চিকিৎসাকের কাছে যাওয়া প্রয়োজন।
ভালোভাবে ইতিহাস এবং শারীরিক পরীক্ষা করে চিকিৎসক রোগটি বুঝতে পারেন। নিশ্চিত হওয়ার জন্য এক্সরে, সিটিস্ক্যান এবং এমআরআই করা হয়। ইএমজি, নার্ভ কন্ডাকশন স্টাডি করা হয় কোনো কোনো ক্ষেত্রে।
এই রোগের চিকিৎসায় ব্যথা কমানোর ওষুধ দেয়া হয়। কোডন জাতীয় ওষুধ ভালো কাজ করে।
মাংসপেশীর আক্ষেপ কমানোর জন্য গঁংপষব ৎবষধীধহঃ ব্যবহার করা হয়। গাবাপেন্টিন ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। কিছু ক্ষেত্রে স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়। তবে ওষুধে কাজ না হলে সার্জারি করতে হয়। আশার কথা হচ্ছে খুব কম ক্ষেত্রেই সার্জারি লাগে।
অসুখটি যেহেতু খুবই পরিচিত তাই সবার এ বিষয়ে জানা উচিত।
ডা. ফজলুল কবির পাভেল

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন