স্টাফ রিপোর্টার : দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে আরও প্রসারিত করতে দ্বিতীয়বারের মতো বসছে প্রযুক্তি পণ্যের উন্মুক্ত আয়োজন ‘বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো-২০১৬’। এই আইসিটি এক্সপোকে উদ্যোক্তা তৈরির প্লাটফর্ম বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে এই সম্মেলন। গতকাল (মঙ্গলবার) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলন করে এর বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন পলক।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের হার্ডওয়্যার খাতকে এগিয়ে নেয়া এবারের আইসিটি এক্সপোর মূল উদ্দেশ্য। গত সাত বছরে সফটওয়্যারে ব্যাপক সাফল্য এসেছে। তবে হার্ডওয়্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা ছাড়া সফটওয়্যার চলতে পারে না। তিনি বলেন, প্রতি বছর পাঁচ লাখের বেশি ল্যাপটপ, তিন কোটিরও বেশি মোবাইল ফোন আমদানি হচ্ছে। গত বছর ছয় লাখেরও বেশি স্মার্টফোন দেশের বাজারে এসেছে। এসব পণ্য দেশে উৎপাদন করা গেলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ী হতো। এ লক্ষ্যে আইসিটি খাতে সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে গাজীপুরের হাইটেক পার্কে কম্পিউটার, ট্যাব, ল্যাপটপ উৎপাদন শুরু হবে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে এক লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হবে। এ সব কিছু গুরুত্ব দিয়েই আইসিটি এক্সপো আয়োজনা করা হয়েছে। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের কাছে এদেশে আইসিটি খাতের বাজার ও সম্ভাবনার বিষয়টি তুলে ধরতে প্রদর্শনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন প্রতিমন্ত্রী। আগামীকাল থেকে শুরু হয়ে শনিবার পর্যন্ত চলবে তিনদিনের এই প্রদর্শনী। দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলার দ্বার খোলা থাকবে। প্রদর্শনীতে ৫৯টি প্যাভিলিয়ন ও ৭০টি ছোট-বড় স্টল থাকবে। এছাড়া দেশি-বিদেশি প্রযুক্তিবিদদের অংশগ্রহণে প্রতিদিনই একাধিক সেমিনার হবে।
এ সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, মেলায় ডিজিটাল জ্ঞানের আদান-প্রদান হবে। বিনিয়োগকারী ও ক্রেতাদের মধ্যে নতুন প্রযুক্তি ও সম্ভাবনা সম্পর্কে ধারণা দেয়া হবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগের কথা ইতোমধ্যেই জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অরগানাইজেশন’র জরিপে উঠে এসেছে। দেশে একটি পণ্য উৎপাদন করতে যেখানে ৪৯ দশমিক ৫ ডলার খরচ পড়ে তা এশিয়ার অন্যান্য দেশ যেমন ভারত, পাকিস্তান, চীনে উৎপাদন করতে খরচ হয় অন্তত ৭০ ডলার। মিট ডিজিটাল বাংলাদেশ শ্লোগানে আইসিটি বিভাগ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির যৌথ উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো এই মেলা হচ্ছে। গত বছর জুনেও তিনদিনের মেলার আয়োজন করেছিল আইসিটি বিভাগ। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এবং কন্ট্রোলার অব সার্টিফায়িং অথরিটি সিসিএ আয়োজনের অন্যতম সহযোগী। মেলার সহযোগী হিসাবে রয়েছে ডেল, মাইক্রোসফট, এইচপি, মাইক্রোল্যাব, সিম্ফোনি, ওয়াল্টনসহ আরও কিছু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন