স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর গুলশানের ক‚টনৈতিক এলাকায় বিভিন্ন দূতাবাসের দখলে থাকা রাস্তা ও ফুটপাতমুক্ত করার অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। এ সময় গুলশান ২ নম্বরে অবস্থিত রাশিয়া দূতাবাসের সামনের ফুটপাতে নির্মিত ১৪০টি কংক্রিট প্লান্টার ও লোহার বেষ্টনী অপসারণ করা হয়েছে। এসময় উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানান, রাশিয়ান দূতাবাস প্রায় ১৫ কাঠা জায়গা দখল করেছিল। বর্তমানে আলোচনার ভিত্তিতে এগুলো অপসারণ করা হচ্ছে। ফুটপাত দিয়ে চলাচল জনসাধারণের সাংবিধানিক অধিকার। এতদিন তারা না বুঝে জায়গাটি দখল করে রেখেছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ডিএনসিসি পরিচালিত অভিযানে মেয়র আনিসুল হকসহ সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেসবাহুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর আব্দুর রাজ্জাকসহ কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে রুশ দূতাবাসসংলগ্ন গুলশান নর্থ এভিনিউ, ৭৯ নম্বর সড়ক এবং ৮৩ নম্বর সড়কের পুরো ফুটপাত দখল করে রাখা হয়েছিল। এছাড়া গুলশান নর্থ এভিনিউয়ে ফুটপাত ও সড়কের ৩ ফুট পর্যন্ত এবং ৮৩ নম্বর সড়কের ফুটপাত ও সড়কের ৯ ফুট পর্যন্ত কংক্রিট প্লান্টার ও লোহার বেষ্টনী দিয়ে বøক তৈরি করে রাখা হয়েছিল। জনসাধারণের চলাচল বন্ধ রেখেছিল দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।
সর্বশেষ গত ২৮ ফেব্রæয়ারি নোটিশ করে অন্যান্য দূতাবাসের সঙ্গে রাশিয়া দূতাবাসকেও ফুটপাত এবং রাস্তার প্রতিবন্ধকতা অপসারণের অনুরোধ জানানো হয়। পরে দূতাবাস কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাইলে তারা ডিএনসিসিকে সড়কের বøক অপসারণে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এরপর আজ (গতকাল বৃহস্পতিবার) ডিএনসিসি এ অভিযান পরিচালনা করে।
এসময় মেয়র আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এটাকে উচ্ছেদ বলব না। সড়ক ও ফুটপাত উন্মুক্ত করছি। তিনি বলেন, বিদেশি দূতাবাসগুলোর সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই তাদের বুঝিয়েছি, এটা জনগণের রাস্তা। জনগণের ফুটপাত। এখান দিয়ে হাঁটা তাদের সাংবিধানিক অধিকার। তারা বিষয়টি বুঝেছে। দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তার বিষয়টিও আশ্বস্ত করা হয়েছে বলে মেয়র জানান। তিনি বলেন, আগে জনগণের অধিকারের দিকে নজর দিতে হচ্ছে। রাশিয়ান দূতাবাসের পর সউদী আরবের দূতাবাসের পাশে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। সউদী দূতাবাসের সীমানা প্রাচীরের পাশেও একইভাবে রাস্তা দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে। মেয়র আনিসুল হক বলেন, রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করার অভিযান অব্যাহত থাকবে। দূতাবাসের যে তল্লাশি চৌকিগুলো রাস্তা দখল করে আছে, সেগুলোও সরিয়ে নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, পাশের রাস্তা ও ফুটপাত আটকে বেশকিছু স্থাপনা রেখেছে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল কর্তৃপক্ষ। সেটিও সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ স্থাপনাগুলো ছুটির পর সরিয়ে নেবে বলে জানিয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন