দুই আসামির রিমান্ড মঞ্জুর
দেবিদ্বার উপজেলা সংবাদদাতা : কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের রহিমপুর গ্রামে দু’যুবক খুনের ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতারকৃত ১০ জনের মধ্যে ৯ আসামিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। এর মধ্যে দু’আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। একই সাথে বাকি ৭ আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, রহিমপুর গ্রামে মঙ্গলবার রাতে প্রতিপক্ষের হাতে ফারুক মিয়া ও সাইদুল হোসেন নামে দু’যুবক খুনের ঘটনায় পুলিশ বিভিন্ন স্থানে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে বুধবার রাত পর্যন্ত ১০ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। এরা হলেনÑ রহিমপুর গ্রামের আলেক মিয়ার ছেলে আনিস মিয়া (২৯), কুদ্দুস মিয়ার ছেলে খোকন মিয়া (৪৫), বজলু মিয়ার ছেলে কনু মিয়া (৩২), হাবিল মিয়ার ছেলে দুর্ভাজ ওরফে খোকন মিয়া (৩৬), জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোমেন মিয়া (২৩), মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আমজাদ হোসেন মোল্লা (৩৬), হোসেন মিয়ার ছেলে সুজন ওরফে সুমন মিয়া (২৩) মৃত রুক্কু মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৪), জয়নাল আবেদীনের ছেলে কামরুল হাসান (২২) ও বজলু মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া (২২)। এদের মধ্যে বজলু মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া পুলিশি প্রহরায় কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বাকি ৯ জন আসামীকে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার ৮নং আমলি আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। একই সাথে আলেক মিয়ার ছেলে আনিস মিয়া, কুদ্দুস মিয়ার ছেলে খোকন মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। শুনানি শেষে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরী তাদের প্রত্যেককে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বাকি ৭ আসামিকে জেল-হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ দিলে তাদেরকে কুমিল্লার কেন্দ্রিয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুরাদনগর থানার ওসি (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান। একই সাথে তিনি বলেন, অপর আসামিদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তবে কেউ যেন বিনা অপরাধে হয়রানির শিকার না হন সে দিকে নজর রয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
এ দিকে ফারুক মিয়া ও সাইদুল হোসেনের লাশ কুমেক হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে রহিমপুর গ্রামে আনা হলে স্বজনসহ এলাকাবাসীর মধ্যে কান্নার রোল পড়ে যায়। তাদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাশ ভারি হয়ে ওঠেছিল। বুধবার বাদ আছর রামধনীমুড়া ঈদগাঁহ মাঠে জানাজা শেষে তাদেরকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজার অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাসেলুল কাদের ও থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ কয়েক হাজার লোক অংশ নেয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রহিমপুর এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন