শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মরণব্যাধিতে ফুরিয়ে আসছে তন্ময়ের স্বপ্ন জয়ের গল্প

| প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে : পিতা-মাতার কাছে সন্তান এক অমূল্য সম্পদ। সন্তানের সুখে যেমন পিতা-মাতা খুশি হয় তেমনি তার কষ্টে, অসুখ-বিসুখে সবচে বেশি উদ্বিগ্ন আর দিশেহারা হয়ে উঠেন পিতা-মাতাই। ভূমিষ্টের পর আদর মমতা আর শাসনে বেড়ে উঠে স্কুল, কলেজের গন্ডি পেরিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) পা রেখে মা-বাবার স্বপ্ন পূরণের পথে এগুচ্ছিল মেধাবী ছাত্র তন্ময়। হঠাৎ তার দেহে ধরা পড়ে এ প্লাস্টিক অ্যানিমিয়া নামের মরণব্যাধি। জটিল এ রোগে আক্রান্ত হয়ে তন্ময় এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। এ মুহূর্তে বোনম্যারো প্রতিস্থাপনই পারে তন্ময়কে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরিয়ে আনতে। আর এ চিকিৎসায় প্রয়োজন প্রায় ত্রিশ লাখ টাকা। একমাত্র পুত্র সন্তানের উন্নত চিকিৎসার সহায়তা চেয়ে মানুষের দুয়ারে এসে দাঁড়িয়েছেন নিরুপায় পিতা-মাতাসহ তন্ময়ের সহপাঠিরা।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক উদ্যমী, মেধাবী ছাত্র তন্ময়। তার বাবা সুকুন চন্দ্র রায় চাঁদপুর জেলার কচুয়ায় মামনীগাছা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। আর মা শিখা রানী বিশ্বাস গৃহিনী। তন্ময়ের আরো এক ভাই ছিলো। অনেক আগেই সে মারা গেছে। এখন তন্ময় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে অধ্যয়নরত ছোট মেয়ে মনিষাকে নিয়েই চাঁদপুরের কচুয়ার চাঙ্গিনী গ্রামের সুকুন বাবু আর শিখা রানীর সংসার। ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে পাঠ চুকিয়ে ২০১৩ সালে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে ভর্তি হয় তন্ময়। তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারে অধ্যয়নরত থাকা অবস্থায় মাস খানেক আগে তার দেহে বাসা বেঁধে থাকা এক ভয়ঙ্কর ব্যাধি এ প্লাস্টিক অ্যামিনিয়া ধরা পড়ে। তন্ময়কে ভর্তি করানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ওই হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর এম.এ. খানের তত্ত¡াবধানে চলছে চিকিৎসা। চিকিৎসক জানিয়েছেন দিন দিন তন্ময়ের শারিরিক অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছে। এ অবস্থায় তাকে ভারতে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে সারানো সম্ভব। তন্ময়ের এ প্লাস্টিক অ্যামিনিয়া রোগের একমাত্র সমাধান বোনম্যারো প্রতিস্থাপন। আর এটির খরচ পড়বে ৩০ লাখের বেশি টাকা। তন্ময়ের স্কুল শিক্ষক বাবার পক্ষে দেশের বাইরে নিয়ে ছেলের চিকিৎসা ব্যয় সংকুলান করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। গত একমাসে চিকিৎসা খরচের পেছনে নিজের সর্বস্ব দিয়ে তন্ময়কে বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে তার পরিবার।
তন্ময়ের উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশ-বিদেশের সকল হৃদয়বান দানশীল ব্যক্তির আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন তার অসহায় পরিবার। আর্থিক সহযোগিতা পাঠানো যাবে। শিখা রানী দাস, সঞ্চয়ী হিসাব নং-১০৫১৫১০১৩০১৪০, ডাচবাংলা ব্যাংক লিমিটেড। অথবা পারসোনাল বিকাশ ০১৬৭৫২৯৩০৫২ এবং রকেট ০১৬৭৫২৯৩০৫২৪ নম্বরে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন