স্টাফ রিপোর্টার : উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। পরিবর্তন চলছে। এই পরিবর্তনের গতি স্থায়ী করতে আপনাদের সমর্থন ও সহযোগিতা প্রয়োজন। সে জন্যই আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেবেন। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর গেন্ডারিয়া ডিআইডি প্লটের সামনে জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি অনুষ্ঠানে মেয়র এ কথা বলেন।
সাঈদ খোকন বলেন, এই শহরকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মেয়র ও কাউন্সিলরের হাত শক্তিশালী করা এবং শহরের সব সমস্যা সমাধানের জন্য আপনাদের অংশগ্রহণ, দোয়া, ভালোবাসা এবং স্নেহ চাই। নির্বাচনের আগে ও পরে আমি বলেছিলাম নির্বাচিত হলে এই শহরকে আলোতে ভরে দেব। তখন অনেকেই সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, এখন আপনারা দেখতে পারছেন, আপনার বাসার সামনে যদি একটা সুঁইও পড়ে, তা দেখা যাচ্ছে। রাতে এখন বাচ্চারা রাস্তায় ক্রিকেট খেলে। আগে মানুষ অভিযোগ করতো, বাতি না থাকায় রাস্তায় চুরি-ডাকাতি বেড়ে গেছে। এখন বলে বাচ্চাদের খেলার কারণে হাঁটা যায় না। তাদেরও খেলতে মন চায়, খেলুক। খেলতে দিন।
মেয়র বলেন, আমি বলেছিলাম আমি তরুণ, আমি যুবক। আমি উদ্যমী মানুষ। আমি কাজ করতে চাই। কাজ ভালোবাসি। মানুষের খেদমত করতে চাই। আমার নিয়ত পরিষ্কার। আমাকে ভোট দিন।
তিনি বলেন, আজ ২ বছর হতে চলল। আমি অবশ্যই বলতে পারি, আপনাদের শহরকে পরিবর্তন করার জন্য এ দুই বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছি। আমি আপনাদের যে ওয়াদা করেছিলাম, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
সাঈদ খোকন বলেন, আমি নগর ভবনের দায়িত্ব নেয়ার মাত্র ১০ দিনের মাথায় বকেয়া বিলের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে এসেছিল ডিপিডিসি। সেই সময়ে সিটি কর্পোরেশনে ৪০০ কোটি টাকা বকেয়া ছিল। ঢাকা শহরের ড্রেনের ময়লা উপচে পড়ত। রাস্তা ঘাট নষ্ট ছিল। সড়কের লাইট ঠিক মতো জ্বলত না।
তিনি বলেন, এই দুই বছরে শেখ হাসিনার আশীর্বাদ এবং সমর্থন নিয়ে আজ ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এগিয়ে চলছে। এখন পর্যন্ত ৩০০টি রাস্তার প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উন্নয়ন করেছি। বিভিন্ন সড়ক, নর্দমা ও ফুটপাতের উন্নয়ন কাজ চলছে। সামান্য কর্মচারী দিয়ে ২ কোটি শহরবাসীর এ শহর পরিচ্ছন্ন রাখা কঠিন। আপনারা সবাই সচেতন হোন। আমাদের সহযোগিতা করুন।
অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, স্থানীয় কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন ভূইয়া, হাজী মুহাম্মদ মাসুদ, প্রধান প্রকৌশলী ফরাজি সাহাব উদ্দির, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার সালেহ উদ্দিন, রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন