বিশেষ সংবাদদাতা, খুলনা : খুলনা জেলার সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসকদের কর্মরতি পালনে চরম ভোগান্তি ও দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা। তবে শুধু মুমূর্ষু রোগীদের জন্য ধর্মঘট শিথিল করে চিকিৎসা দেয়া হয়। বিএমএ, বিপিএমপিএ এবং বিপিসিডিওএ’র ডাকা চিকিৎসকদের এই কর্মরতি বিষয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হবে বলে নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন।
মহানগরীর বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক সরেজমিন পরিদর্শন ও বিভিন্ন উপজেলা প্রতিনিধিদের মাধ্যমে জানা গেছে, পূর্ব ঘোষণা মোতাবেক গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকেই সকল সরকারি বেসরকারি হাসপাতালের আউটডোর (বহিঃবিভাগ) বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে করে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। সকাল ১০টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বহিঃবিভাগের সবক’টি শাখা চিকিৎসক শুন্য। দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা চিকিৎসা সেবা না নিয়েই ফিরে যেতে হয়। অনেকে আবার বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতালের দ্বারস্থ হয়েও চিকিৎসা সেবা পায়নি। একই অবস্থা শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, খুলনা জেনারেল হাসপাতালের। এছাড়া আউটডোর বন্ধ রেখে নগরীর ফরটিস এসকর্টস্ হার্ট ইনস্টিটিউট, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ডক্টরস্ পয়েন্ট, সিটি ইমেজিং, আদ্ব-দ্বীন আকিজ হাসপাতাল, গরীব নেওয়াজ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক, নার্গিস মেমোরিয়াল ক্লিনিক, সন্ধানী ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স, সামেলা মেমোরিয়াল ক্লিনিক, খুলনা আই এন্ড লেজার সেন্টারসহ নগরীর সকল সরকারি বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করেছেন। তবে এসকল ক্লিনিক হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগীদের জন্য ইমারজেন্সী (জরুরী বিভাগ) চালু রাখা হয়েছে।
স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে, খুলনার পাইকগাছা, ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা, রূপসা, তেরখাদা, দিঘলিয়া, পাইকগাছা, ফুলতলা, দাকোপ, কয়রায়ও গতকাল সকাল থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সসহ সকল বে-সরকারি ক্লিনিক ও ডায়গোনষ্টিক সেন্টারে চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করেছেন । এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছে এসকল উপজেলার হাজার হাজার রোগী। এছাড়া উপজেলার সকল চিকিৎসকরা প্রাইভেট প্র্যাকটিসও বন্ধ রেখেছেন। শুধুমাত্র মুমূর্ষু রোগিদের জন্য জরুরী চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) খুলনার সভাপতি ডাঃ শেখ বাহারুল আলম জানান, তেরখাদায় ডাক্তার মামুনকে মারধরের ঘটনায় স্থানীয় আ’লীগের সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান এসএম অহিদুজ্জামান নাম উলেখ করে মামলা করার পরও তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এর প্রতিবাদে চিকিৎসকদের এই কর্মবিরতি। এ বিষয়ে তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহজাহান খান জানান, মামলার এজাহারভূক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। এদিকে পুলিশ খুঁজে না পেলেও গতকাল স্থানীয় পত্রিকায় ছবিসহ বিজ্ঞাপন দিয়ে অহিদুজ্জামান দ্বিতীয়বারের মতো বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন