মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বালাগঞ্জের ধানের পর এবার মরছে হাঁস

| প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক এখনো সরকারি কোনো সহযোগিতা পাননি
আবুল কালাম আজাদ : বোরো ধান ক্ষেত করেছিলাম। সব পানি নিয়ে গেছে। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ থেকে ঋণনিয়ে ছিলাম দুই বারে ৪০ হাজার টাকা। এ টাকা দিয়ে হাঁসের খামার দিয়েছিলাম। কিন্তু গত তিন দিনের ব্যবধানে আমার ৭শ হাঁস মরে যায়। এখন আমি অন্ধকার দেখছি। ছেলে-মেয়ে নিয়ে কিভাবে থাকবো ভেবে পাচ্ছি না। এভাবে কান্না জড়িত কন্ঠে বললেন বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব গৌরিপূর ইউনিয়নের গোড়াপুর হাওর পাড়ের নতুন সুনামপুর গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম। গত মঙ্গলবার বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদে গেলে দেখা হয় তার সাথে। তিনি এমন অভিযোগ নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে আসেন। নুরুল ইসলামের মত আরো অনেকের এভাবে হাওরে হাঁস মরে গেছে। অনেকে হঠাৎ মৃত্যুর ভয়ে বিক্রি করে দিয়েছে। দেখা মেলে অভিযোগ ও ধান হারানো দু:খ নিয়ে আসা অনেক কৃষকের।
জানা যায়, সিলেটের বালাগঞ্জ ও ওসমানীনগরে সরকারী হিসেব মতে প্রায় ১৬হাজার কৃষকের বোরো ধান অকাল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। যদিও বেসরকারী হিসেব মতে ক্ষতির পরিমান দ্বিগুন। ক্ষতিগ্রস্ত বোরো ফসলের কৃষকরা সীমাহীন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখনো সরকারী কোন সহযোগিতা পাননি বলে অনেকেই জানান। হাওর পারে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের দেখা মিললে তারা কোন ধরণের সরকারী সাহায্য সগযোগিতা না পাওয়ার কথা জানান। এখন মরে যাচ্ছে হাওর পাড়ের মানুষের শেষ ভরসা হাঁস। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা প্রতিদিন নানা সমস্যা নিয়ে হাজির হচ্ছেন উপজেলা ভবনের সামনে। অসংখ্য সমস্যা জমে আছে প্রশাসনের কাছে।
গোড়াপুর হাওরের নতুন সুনামপুর গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম বোরো ফসল পানিতে তলিয়ে যাবার পর ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে তিনি বালাগঞ্জ উপজেলার ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ থেকে ঋণ নিয়ে ছিলেন দুই বারে ৪০হাজার টাকা। এ টাকা দিয়ে হাঁসের খামার দিয়েছিলেন। কিন্তু গত এপ্রিল মাসের ২৫ থেকে ২৭ তারিখ তিন দিনের ব্যবধানে ৭শ হাঁস মারা গেছে। কৃষক নুরুল ইসলাম এখন অন্ধকার দেখছেন। নুরুল ইসলামের মত হাওর পাড়ের অনেক কৃষকের হাঁস মারা গেছে।
এ বিষয়টি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে জানালে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে চিকিৎসা দিয়েও কোন উপকার হয়নি। আলামত সংগ্রহ করে গত মাসের ২৪ তরিখ ঢাকায় প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে কি কারণে মারা গেছেঃ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান ঢাকা থেকে রিপোর্ট আসলে বলতে পারবো। বালাগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: আশরাফুল ইসরাম বলেন, হাঁস মরার আলামত ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর বলা যাবে কেন মারা গেল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন