বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

যুবলীগের সম্মেলন ঘিরে ব্যানার-ফেস্টুনের নগরী এখন রাজশাহী

প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহী মহানগরীতে কেউ এলে মনে করতেই পারেন এখানে সিটি কর্পোরেশন কিংবা জাতীয় কোন নির্বাচনের হাওয়া বইছে। কারন যুবলীগের সম্মেলন উপলক্ষে নগরী ছেয়ে গেছে ব্যানার আর ফেষ্টুনে। বাঁধের কোল সড়ক দীপ বিলবোর্ড স্মৃুতি স্তম্ভ কোন কিছুই বাদ পড়েনি ব্যানার ফেস্টুনের হাত থেকে। রাস্তার আইল্যান্ডের মাঝে লাগানো বেড়ে ওঠা গাছগুলো রেহায় পায়নি এর থেকে। প্ল্যাকাডের চাপায় গাছগুলোর মরন দশা।
এক যুগ পর মহানগর যুবলীগের সম্মেলন হতে যাচ্ছে আগামী ৫ মার্চ। সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৪ সালের ১৮ এপ্রিল। সে সময় যারা নির্বাচিত হয়েছিলেন এতদিন ধরে তারাই রয়েছেন। সভাপতি, সাধারন সম্পাদকের মত শীর্ষ পদ দুটি তারাই নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া। অন্যরা বসেনেই। তারাও নেমেছে কোমর বেঁধে। যেকোন মুল্যে পদ ধরে রাখা আর পাওয়া নিয়ে চলছে তীব্র প্রচারনা আর দেন দরবারের লড়াই। অভিযোগ উঠেছে সম্মেলন ঘিরে কোটি কোটি টাকার চাঁদা বাজির। বিশেষ করে রেলওয়ের একটি টেন্ডারকে কেন্দ্র করে প্রায় তিনকোটি টাকা হাতিয়ে নেবার আয়োজন প্রায় সম্পন্ন। অজুহাত যুবলীগের সম্মেলন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে টাকার খেলার অনেক গুঞ্জন রয়েছে মুখে মুখে। যদিও নেতারা তা মানতে নারাজ। তবে তারা যাই বলুক না কেন প্রচার প্রচারনার ব্যাপারটিতো তা সমর্থন করেনা। শংকা উঠেছে নির্বাচনে টাকার খেলার। যুবলীগের সম্মেলন ঘিরে এখন নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। বিশেষ করে কাউন্সিলরদের। এখন তাদের বড্ড কদর। সব প্রার্থী তাদের সাথে যোগাযোগ করছে। নির্বাচিত হলে তাদের ভিন্নভাবে মুল্যায়ন করা হবে এমন নানা আশ্বাস দেয়া হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায় এবার সম্মেলনের জন্য নগরীর ত্রিশটি ওয়ার্ড থেকে প্রায় সাতশোজন কাউন্সিলর হয়েছেন। তারাই নির্দ্ধারন করবেন আগামী দিনের নেতৃত্ব। যুবলীগের কাউন্সিল ঘিরে নগরজুড়ে ব্যানার ফেষ্টুনের ছড়াছড়ি দেখে অনেকের মন্তব্য আওয়ামীলীগের মহানগর কাউন্সিল ঘিরে এমন প্রচার প্রচারনা নগর কাউন্সিল ঘিরেও দেখা যায়নি। দুজন প্রবীন নেতা বলেন উৎসাহ উদ্দীপনা থাকা ভাল। তবে বেশী বেশী না হওয়াটা ভাল। সবার সজাগ থাকা উচিত যেন দলের বদনাম না হয়। ব্যানার বিলবোর্ডের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন হাইকমান্ডের সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে ব্যানার ফেস্টুনে শুধু বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। প্রার্থীদের ছবি বড় বড় করে দেয়া হয়েছে। সাথে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ছোট আকারে সংযুক্ত করা হয়েছে। যা নির্দেশনার বরখেলাপ ও দৃষ্টি কটুও বটে। ব্যানার ফেস্টুন বিলবোর্ড ব্যবহারের জন্য সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি বা চার্জও দেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে সিটি কর্তৃপক্ষও নিরব। শাসক দল বলে কথা। এ বিষয়ে যুবলীগে নেতাদের বক্তব্য প্রায় একযুগ পর নির্বাচনকে ঘিরে যে উৎসাহ উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। তাতে করে অনেক নিয়ম কানুন মানতে পারেনি উৎসাহী হাজার হাজার নেতাকর্মী। যে যার মত করে নিজের কিংবা পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনায় নেমেছ্ েআর সবাই শেষ মুহুর্তের প্রচারনায় নেমে পড়েছে বলে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন