শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া আহত ৭

| প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চবি সংবাদদাতা : পূর্বের ঘটনার জের ধরে চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে রামদা, ইট পাটকেল, রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের সাত নেতাকর্মী আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ^বিদ্যালয়ের শাহজালাল ও শাহ আমানত হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের চবি মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহতরা হলেন, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ২০০৭-০৮ সেশনে শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জামান নূর, সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের উপ-ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান উজ্জ¦ল, লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনে শিক্ষার্থী আবু বক্কর, ইতিহাস বিভাগের ২০১২-১৩ সেশনের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক এসএম মাসুম। তারা সবাই বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বি সুজন এর অনুসারী বলে জনা যায়। অন্যদিকে সভাপতি গ্রæপের আহত তিন জন হল, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী সাইকুল, ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের ১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী আশিক ও আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী নাফি।
জানা যায়, পূর্ব ঘটনার জের ধরে বিশ^বিদ্যালয় রেলস্টেশনে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী আবু বক্কর কে গতকাল মারধর করে সভাপতি গ্রæপের কয়েকজন কর্মী। পরে ঘটনাটি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ সম্পাদকের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শাহ আমানত হলের সামনে ও সভাপতি গ্রæপের কর্মীরা শাহজালাল হলের সামনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মুখোমখি সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় ইট পাটকেল ছোড়াছুরিতে দুই গ্রæপের সাত নেতা কর্মী আহত হয। পরে ঘটনা স্থলে পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে হলে ভেতরে ডুকিয়ে দেয়। এসময় সভাপতি গ্রæপের কর্মীরা শাহজালাল ও সাধারণ সম্পাদকের কর্মীরা শাহ আমানত হলে অবস্থান নেয়।
চবি ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু বলেন, এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ও পুলিশ যে ব্যবস্থা নিবে আমরা সে বিষয়ে প্রশাসনকে সমর্থন করবো।
এ বিষয়ে চবি ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এইচ এম ফজলে রাব্বি সুজন বলেন, জুনিয়র কর্মীদের মধ্য কথা কাটাকাটি নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। তবে সিনিয়রা বসে ঘটনাটি সমাধান করে ফেলেছি। যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে বিশ^বিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মিজানুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাঝুঝি কারণে শাহজালাল-শাহ আমানত হলের সামনে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা করেছি। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন