মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

শ্রীনগরে দশ লাখ টাকার গাছ কেটে নিয়েছে সওজ’র কর্মচারীরা

প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : শ্রীনগরে উপজেলা বন কর্মকর্তার যোগসাজশে দু’দফায় সামাজিক বনায়নের দশ লাখ টাকার গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের দুই কর্মচারী। গতকাল হাসাড়া-বাড়ৈখালী রাস্তায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় বিক্রীত গাছগুলোর সর্বশেষ ৭টি কেটে ফেলা হচ্ছে। অথচ সামাজিক বনায়নের দরিদ্র উপকার ভোগীরা এর কিছুই জানেন না।
জানা যায়, দুই মাস পূর্বে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের লিংক রোড হাসাড়া-বাড়ৈখালী  রাস্তার ৭ কিলোমিটার অংশে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ শুরু হয়। এ কাজের তদারকি করার জন্য শ্রীনগর সড়ক ও জনপথ অফিসের ওয়ার্ক অ্যাসিটেন্ট আ. মজিদ ও আ. রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা কাজের এলাকায় আসার পরপরই তাদের লোলুপ চোখ পড়ে রাস্তার দু’পাশের সামাজিক বনায়নের বড় বড় গাছগুলোর উপর। রাস্তার সংস্কার কাজের অজুহাতে তারা প্রথম দফায় একে একে ওই রাস্তার ঋষিবাড়ি, লস্করপুর, আলমপুর ও শ্রীধরপুর পয়েন্ট থেকে প্রায় ২৩টি গাছ বিক্রি করে দেয়। যেগুলোর মূল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা। ওই সময় গাছ কাটার বিষয়ে আ. মজিদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, সড়ক ও জনপথের রাস্তার গাছ কাটার জন্য কারো অনুমুতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে গাছ বিক্রির টাকা কোথায় জমা হয়েছে এ প্রশ্নের কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা সেলিম হোসেন খান জনান, সরকারের ২০১২ সালের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগ যদি সামাজিক বনায়নের গাছ কাটে তবে তা উপজেলা বন কর্মকর্তাকে অবহিত করার কথা। কিন্তু তাকে না জানিয়ে গাছ কেটে নেওয়া হলেও তিনি এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাও গ্রহণ করেননি।
দ্বিতীয় দফায় গতকাল বৃহস্পতিবার হাসাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম পাশ থেকে বিক্রীত ৭টি গাছ কাটা শুরু হয়।  এ গুলোর মূল্য প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার টাকা। গাছগুলো কাটার ব্যাপারে ওয়ার্ক অ্যাসিটেন্ট আ. রহমান জানান, শ্রীনগর সড়ক ও জনপথ অফিসের প্রধান প্রকৌশলী হায়দার কামরুজ্জামানের নির্দেশে এবং বন বিভাগের কর্মকর্তা সেলিম হোসেন খানের অনুমুতি নিয়েই গাছ কাটা হচ্ছে। ওই রাস্তার সামাজিক বনায়নের উপকার ভোগী হাসাড়া গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ জনান, আমরা ওই গাছগুলোর ৫৫ ভাগের মালিক। অনেক কষ্টে গাছগুলোকে বড় করেছি। এখন গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আমরা এর কিছুই জানি না। এ ব্যাপারে প্রকৌশলী হায়দার কামরুজ্জামান জানান, তিনি গাছ কাটার বিষয়ে কিছু জানেন না।


 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন