পাবনা জেলা ও ঈশ্বরদী উপজেলা সংবাদদাতা : পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় আজব লাল যাদব নামের ৫০বছর বয়সী এক ভারতীয় নাগরিকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে তাকে বিষক্রিয়া জনিত কারণে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত একটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মঞ্জুরা রহমান।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, ভারতের বিহার প্রদেশের মাধুরাণী জেলার বাসিন্দা যাদব ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রশিদ ওয়েল মিলে কর্মরত ছিলেন। সে সময় উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের সাইফুল্লাহর বাড়িতে তিনি ভাড়া থাকতেন তিনি। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে রশিদ ওয়েল মিল থেকে চাকুরিচ্যুত হন। পরে তিনি অন্যত্র চাকুরী নেন।
শনিবার রাতে কালিকাপুর গ্রামের সাইফুল্লাহর বাড়িতে যান তিনি। রাতেই ওই বাড়ীর লোকেরা যাদব বিষপান করেছে বলে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাত সাড়ে ১১ টার দিকে যাদবকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার লাশ পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না বলেও জানান , পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে, জিজ্ঞাসাবাদের এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই বাড়ির মালিক সাইফুল্লাহ ও তার মেয়ে নাসিমা আকতার কে আটক করেছে পুলিশ। এক সূত্রে এই খবর পাওয়া গেলেও ঈশ্বরদী থানার ওসি আব্দুল হাই জানান, তার থানা সাইফুল্লাহ এবং তার কন্যাকে আটক করেনি। সূত্র মতে, কালিকাপুর গ্রামের বাড়িতে ভাড়া থাকার সুবাদে বাড়ির মালিকের মেয়ের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে ছিলেন ওই ভারতীয় নাগরিক। তিনি প্রচুর পরিমাণে মদ্যপান করতেন। বিষক্রিয়া নাকি অধিক মদ্যপান জনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া পুলিশ নিশ্চিত করে এখনি কিছু বলতে পারছে না। পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মঞ্জুরা রহমান জানান, শনিবার রাতে ঈশ্বরদী হাসপাতাল থেকে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হিসাবে ভারতীয় নাগরিক যাদবকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। আমরা লাশের ময়না তদন্ত শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ প্রশাসন গ্রহণ করবে। আমাদের এখানে লাশ রাখার কোন ব্যবস্থা নাই, তাই লাশ ঢাকাতে পাঠিয়ে দিতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন