হবিগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : ৫৭ ধারা জনগণের বাক স্বাধীনতা হরণ করছে এমন বিতর্ক উঠায় এটি বাতিল করা হচ্ছে। নতুন ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্টে এ বিষয়টি আরো স্পষ্ট করা হবে। বর্তমানে ৫৭ ধারার অধীনে যে সকল মামলা পরিচালিত হচ্ছে বা তদন্তাধীন রয়েছে, নতুন আইনে সে বিষয়ে নির্দেশনা থাকবে। এ আইনে ন্যায়বিচার যাতে সকলে পায় সে ব্যবস্থা করা হবে। ৫৭ ধারাটি কিছু কতিপয় ব্যক্তি বার বার অপব্যবহারে চেষ্টা করে যাচ্ছিল। তাই ৫৭ ধারা বাতিল করে নতুন আইন করা হচ্ছে। যেখানে সবার ন্যায় বিচার নিশ্চিত হবে। এ আইনটি স্পষ্টকরণে নতুন ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হচ্ছে। এতে কারও বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে অহেতুক ব্যবস্থা নেয়ার কোনো ব্যবস্থা থাকবে না।
এছাড়াও তিনি শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার বিচার সম্পর্কে বলেন, এটি যাতে সল্প সময়ের মধ্যে সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে এবং দ্রæত বিচার শেষ করা হয় সে ব্যাপারে প্রসিকিউশন ব্যবস্থা নেবে।
গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় হবিগঞ্জে নবনির্মিত চীফ জুডিসিয়াল আদালত ভবন উদ্বোধন শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে এসব কথা বলেন। পরে স্থানীয় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, জেলা ও দায়রা জজ আতাবুল্লাহ, জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ.স.ম শামছুর রহমান ভূইয়া, প্রেসক্লাব সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা রফিক, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ প্রমুখ।
পরে তিনি পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে ভবন উদ্বোধন করেন। এরপর আইনমন্ত্রী জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সুধী সমাবেশ ও জেলা আইনজীবি সমিতি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
২৩ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২ তলা ভীত বিশিষ্ট চীফ জুসিডিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৫ তলা নির্মাণ করেছে হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন