বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি বিষয়ক কর্মশালা সমাপ্ত
বাকৃবি সংবাদদাতা: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) দুদিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি বিষয়ক কর্মশালা শুরু হয়। আজ কর্মশালার আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে। বাউরেস প্রতিষ্ঠার পর থেকে গত ৩৩ বছরে মোট ১১৭৮ টি গবেষণা কাজ সম্পাদন করেছে বলে কর্মশালায় জানানো হয়।
গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড.মো. আলী আকবরের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড.মো. মঞ্জুরুল আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ড.মো. জসিমউদ্দিন খান, এসিআই’র কৃষি ব্যবসার নির্বাহী পরিচালক ড.এফ.এইচ আনসারী। এছাড়াও কর্মশালায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও ২ শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান বলেন, যে কোনো গবেষণাই মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়নের চাবিকাঠি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার পরিধিকে বিস্তার করতে হবে। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য বাকৃবি একটি মাইল ফলক। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এটি চোখে পড়ার মত না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড.মো. আলী আকবর বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক ১৯৭৩ সালে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা দেওয়ার মাধ্যমে দেশের কৃষি ও গবেষণায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছিলেন। যার ফলাফলে আমরা আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। আমরাই কেবল ব্যতিক্রম প্রতিষ্ঠান। কারণস্বরূপ আমরাই কর্মশালার মাধ্যমে বৃহৎ পরিসরে প্রতিবছর বার্ষিক গবেষণা প্রকাশ করি।
এদিকে গবেষণা খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য এ বছর বিশ্বখ্যাত গবেষণার এইচ ইনডেক্স অনুযায়ী সেরা ৫ গবেষককে সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড.মো. আবদুল ওহাব, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.মো. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক ড.মো. জহির উদ্দিন, প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড.মো. রফিকুল ইসলাম এবং কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. এহসানুল কবীর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন