শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ফরিদপুরে বিএনপি প্রার্থীদের মাঝে আতংক

প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : প্রথম দফায় ফরিদপুর জেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন না হলেও তৃতীয় দফায় জেলার ৮১টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারী দলের প্রার্থীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করলেও নিরব রয়েছেন বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ইতোমধ্যেই ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের তালিকা চুড়ান্ত হলেও বিএনপিতে ভিন্ন চিত্র। নির্বাচন নিয়ে বিএনপি প্রার্থীদের মাঝে এখনো তেমন কোন প্রচার-প্রচারণা লক্ষ্য করা যায়নি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রতিদিনই শো-ডাউন, নানাভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে ফরিদপুর জেলায় বিএনপির সমর্থিত যেসব চেয়ারম্যান রয়েছেন তারা নানা শংকা এবং আতংকের মধ্যে রয়েছেন। নির্বাচনে তারা অংশ নিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, নির্বাচন এলে মামলা দিয়ে তাদের দুরে সরিয়ে রাখা হতে পারে। তাছাড়া নির্বাচনে অংশ না নিতে তাদের উপর ক্ষমতাসীন দলের চাপ ক্রমেই বাড়ছে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপি সমর্থিত দুই ডজন চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগে যোগদান করেছেন। অনেকেই ক্ষমতাসীন দলের সাথে ‘সখ্যতা’ বজায় রেখে চলছেন। নির্বাচনের সময় বিএনপি’র কিছু সুবিধাবাদী চেয়ারম্যান ‘ডিগবাজী’ দিয়ে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নেবেন এমন প্রার্থীর সংখ্যা নেহাতই কম নয়। ফলে বিএনপি তাদের চেয়ারম্যান প্রার্থী বাছাই নিয়ে বেশ সমস্যার মধ্যে পড়বেন এমনটি স্বীকার করেছেন খোদ দলটির প্রথম সারির একনেতা। নামপ্রকাশ না করার শর্তে ফরিদপুর সদর উপজেলার এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা জানিয়েছেন, তার উপর আওয়ামী লীগে যোগদানের চাপ রয়েছে। শেষ পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে ‘নৈৗকা প্রতিকে’ লড়বেন। মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রাকিব হোসেন চৌধুরী ইরান অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে নির্বাচনে অংশ নেয়া বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। সরকারী দলের নেতারা নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। নির্বাচনের সময় ভোট জোর করেই নেবেন বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাছাড়া হামলা-মামলার ভয় তো রয়েছেই। একই উপজেলার বাগাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রহিম ফকির বলেন, বিএনপি করি বলেই আমাকে সরিয়ে দেবার জন্য বিভিন্ন সময় ষড়যন্ত্র হয়েছে। চরভদ্রাসন উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের মধ্যে রয়েছি। ‘ধানের শীষ’ নিয়ে নির্বাচন করতে পারবো কিনা বলতে পারছিনা। এ বিষয়ে ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে তা আশা করিনা। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বিএনপি’র সম্ভাব্য প্রার্থীদের নানা ভাবে হয়রানী করা হচ্ছে। যারা চেয়ারম্যান রয়েছেন তাদের আওয়ামী লীগে যোগদানের জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন