কক্সবাজার অফিস : কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁওতে গহীন অরণ্যে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই অভিযানে এক ডাকাত নিহত হয়েছে। এ সময় অপর এক ডাকাতকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়েছে। এসময় বেশকিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কি পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঈদগাঁও ইউনিয়নের কালিরছড়ার পূর্বে হলহাজির ঘোনা নামক স্থানে এ ঘটনাটি ঘটে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঐ ডাকাতের আস্তানাটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও স্থানীয় গ্রামবাসী। নিহত ডাকাতের নাম জয়নাল (৩২)। সে ঈদগাঁওর ভোমরিয়ারঘোনা গ্রামের মৃত লাল মিয়ার পুত্র। এছাড়া আহত অপর আটক ডাকাত লোহাগাড়ার চুনতি গ্রামের মৃত গুনু মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ নবী (৩০)।
স্থানীয় মেম্বার মাহমুদুল হাসান মিনার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সাড়ে ৩টার দিকে স্থানীয় একদল রাখাল গহীন জঙ্গলে গরু খুঁজতে যায়। এসময় একটি পাহাড়ে ৫/৬ জনের একটি ডাকাতদলের অবস্থান দেখে ভয়ে পালিয়ে আসে। পরে রাখাল ছেলেরা ঐ মেম্বারকে মুঠোফোনের মাধ্যমে জানালে তিনি তাৎক্ষনিক ঈদগাঁও পুলিশকে খবর দেয়।
ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের এসআই দেবাশীষ সরকারের নেতৃত্বে পিয়ারু উদ্দিন, আবুল কাশেমসহ একদল পুলিশ সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ডাকাত দলের আস্তানা ঘিরে ফেলে। ডাকাতদলের সদস্যরা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আরো কয়েকটি জঙ্গল থেকে ১২/১৫ জন ডাকাত একত্রিত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ২/৩ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে বেশ কয়েক রাউন্ড পাল্টা গুলি ছুড়ে। পুলিশের জনবল কম থাকায় আস্তানাটি ঘেরাও করে রেখে স্থানীয় প্রত্যেক মসজিদের মাইকে প্রচার করলে স্থানীয় বিভিন্ন গ্রাম থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়ে পুলিশের সাথে অভিযানে অংশ নেয়। এ সময় পুলিশ এবং গ্রামবাসী সম্মিলিত ভাবে অভিযান চালিয়ে দুই ডাকাতকে ধরতে সক্ষম হয়। এসময় গ্রামবাসীর গণধোলাইয়ের শিকার হয়ে এক ডাকাত মারা যায়।
ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. খায়রুজ্জামান বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অভিযান স্থল থেকে ফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এছাড়া ঘটনাস্থলে আরো অতিরিক্ত পুলিশ অংশ নিতে রওনা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশ এবং স্থানীয় গ্রামবাসী ডাকাতের আস্তানাটি ঘিরে রেখেছে বলে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন