স্টাফ রিপোর্টার নরসিংদী থেকে : জমি সংক্রান্ত বিরোধে সামসুল হক নামে এক পিতাকে কুপিয়ে হত্যা এবং পুত্র জহিরুল হককে কুপিয়ে জখম করার দায়ে ৭ পলাতক খুনীকে মৃত্যুদন্ড ও অর্থদন্ডসহ বিভিন্ন দন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। পিতা সামসুল হককে হত্যার দায়ে আসামি আব্দুল গাফ্ফার, মারফত আলী, শরিফ মিয়া, আরিফ মিয়া, আলেক মিয়া, রুপবান ও তোতা মিয়াকে মৃত্যুদন্ডাদেশ ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি জহিরুল হককে কুপিয়ে আহত করার দায়ে আব্দুল গাফ্ফার, শরিফ মিয়া, আরিফ মিয়া, ফারুক মিয়া ও বাছির মিয়াকে ৫বছর করে সশ্রম কারাদন্ড, ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারান্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় নজরুল ইসলাম, হাফিজুল ইসলাম, নবিকুল মিয়া, মনির মিয়া, শহিদুল্লাহ, মিজানুর রহমান, রফিক, আক্তার, আলম, জাহাঙ্গীর, মোসলেহ উদ্দিন ও রাশিদা বেগম নামে ১৩ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহিন উদ্দিন এই দন্ডাদেশ সমূহ ঘোষণা করেছেন।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৩১ আগস্ট জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উল্লেখিত আসামীরা প্রথমে সামসুল হকের পুত্র জহিরল হককে রাস্তার আটক করে অপমান করে। পুত্র জহিরুল হক বাড়ী গিয়ে এ ঘটনা পিতা সামসুল হককে জানালে তিনি এ ঘটনা জিজ্ঞাসা করার জন্য ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। সেসময় আসামীরা পুত্রের সামনে পিতা সামসুল হককে নির্মমভাবে কুপিয়ে পানিতে ফেলে দেয়। এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় আসামীরা পুত্র জহিরুল হককেও এলোপাতারি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পিতার সাথে তাকে পানিতে ফেলে দেয়। এ অবস্থায় আশেপাশের লোকজন দুই পিতা-পুত্রকে পানি থেকে উঠিয়ে দেখতে পায় যে পিতা সামসুল হক মারা গেছে। এই অবস্থায় জহিরুল হককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে সে প্রাণে বেঁচে যায়। এ ব্যাপারে নূরজাহান বেগমের দায়েরকৃত মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের দেয়া চার্জশীটের ভিত্তিতে দীর্ঘ শোনানী শেষে হত্যাকান্ডের দীর্ঘ ৮ বছর পর আসামীদেরকে এই মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রদান করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন