দিনাজপুর অফিস : দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় অপহৃতা মাদ্রাসা ছাত্রী মরিয়ম আখতার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবানবন্দী প্রদান করেছে। আটক ৭ অপহরণকারীদের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
গতকাল (শনিবার) দুপুর ২টায় দিনাজপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল বারীর খাস কামরায় অপহৃতা মাদ্রাসা ছাত্রীর জবানবন্দী রেকর্ড করেন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বিজুল মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে বিজুল গ্রামের মতিউর রহমানের কন্যা মাদ্রাসা ছাত্রী মরিয়ম আখতার (১৬)-কে অপহরণকারী জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। অপহরণকারীরা মরিয়মকে অজ্ঞানের ইনজেকশন দেয়ার সময় তার চিৎকারে লোকজন টের পেয়ে এলাকাবাসী অপহরণকারীদের ধাওয়া করে। অপহরণকারীরা মরিয়মকে নবাবগঞ্জ উপজেলার বাজিতপুরে ফেলে দিলে এলাকাবাসী মাইক্রোবাসটি ঘেরাও করে আটক করে।
এ সময় উত্তেজিত জনতা মাইক্রোবাসের চালক লিটন (২১)সহ ৭ জনকে গণপিটুনি দেয়। অপহরণকারী ৬ জন হচ্ছে ওমর ফারুক (২৭), নুরুন্নবী (২৮), রায়হান কবির (২৯), কৌশিক আলম (২৮). ছোটন (২৩) ও রাসেল মিয়া (৩০)-কে আটক করে। জনতা আটক ৬ জনকে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। অপহৃতা মরিয়মের বাবা মতিউর রহমান বাদী হয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় বিরামপুর থানায় মামলা দায়ের করে।
এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সিদ্দিকুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত ৭ জনকে চিকিৎসা শেষে শনিবার দুপুরে দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। বিচারক রোববার রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করে তাদের জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ প্রদান করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন