এই সমীক্ষায় প্রায় অর্ধেক লোক তাঁদেরকে “বিদ্যুত সংবেদনশীল” বলে মনে করেন এবং তাদের মাথাব্যথা এবং স্নায়ুবিক কাজ বাধাগ্রস্থ হয়। কিন্তু তাঁরা বুঝতে পারেন না মোবাইল ফোনের রেডিয়েশনের জন্য ইহা হয় কিনা।
স্বাস্থের উপর ইলেকট্রো-মেগনেটিক এর প্রভাব বা প্রতিক্রিয়ার গবেষক মিঃ এলাসডেয়ার ফিলিপস্ যিনি পাওয়ারওয়াচ এর পরিচালক মনে করেন যে মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন প্রতিক্রিয়ার সুস্পষ্ট ধারণা আছে, তাই আমাদেরকে আরো সতকর্তার সাথে কাজ করতে হবে। গবেষণায় জানানো হয় যে যদি বিকালে বা রাতে ফোনে কথা বলতে হয়, তাই মোবাইল ফোনের পরিবর্তে ল্যান্ড ফোন ব্যবহার করা ভাল এবং বিছানার পাশে মোবাইল ফোন না রাখাই উত্তম কাজ। যদিও মিঃ মাইক দোলান, মোবাইল অপারেটর এসোসিয়েশন এর নির্বাহী পরিচালক উক্ত ধারণার সাথে দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি বলেন ইহা বিজ্ঞানের মহাসমুদ্রে এক বিন্দু পানি মাত্র। এক কাপ কফি পান করলে যা ক্ষতি হয, তা এর চেয়েও কম। গত বছর সেপ্টেম্বরে যুক্তরাজ্য মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন এবং হেলথ রিসার্চ প্রোগ্রাম এর উদ্যোগে ছয় বছর ব্যাপী এক সমীক্ষায় উপসংহারে বলা হয় যে, মোবাইল ফোন ব্যবহারে ব্রেইনের স্বল্প-কালীন সমস্যা হয় না। কিন্তু গবেষকগণ দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি, এমনকি ক্যান্সারও হতে পারে। যুক্তরাজ্যের মোবাইল ফোনের সার্ভিস সমূহ ৮৭২ হতে ৯৬০ মেগাহার্টস, ১৭১০ হতে ১৮৭৫ মেগাহার্টস এবং ১৯২০ হতে ২১৭০ মেগাহার্টসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয়। (সূত্রঃ অ্যামেরিকান একাডেমি অব অটোল্যারিংগোলজী - হেড এন্ড নেক সার্জারী )
অধ্যাপক ডাঃ এম আলমগীর চৌধুরী
নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ সার্জন
বিভাগীয় প্রধান, ইএনটি বিভাগ
আনোয়ার খান মডার্ণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল,
রোড ৮, ধানমন্ডি, ঢাকা, ০১৯১৯ ২২২ ১৮২
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন