দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের প্রশংসায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীরা
স্টাফ রিপোর্টার : গেøাবাল প্লাটফর্ম ফর ডিজাস্টার রিস্ক্র রিডাকশন সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীরা। মেক্সিকোর কানকুনে অনুষ্ঠিত তিনদিন ব্যাপী গেøাবাল প্লাটফর্ম ফর ডিজাস্টার রিস্ক্র রিডাকশন-২০১৭’ শীর্ষক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের অধিবেশনের শুরুতে দুর্যোগ প্রশমনে বাংলাদেশের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিঞ্জপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, এ সময় ২০১৫ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ঢাকা ডিক্লারেন্সসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডেরও প্রশংসা করা হয়। সম্মেলনে জাপান, ইতালি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, থাইল্যান্ড, মেক্সিকো, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীরা প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষায় বাংলাদেশের উদ্যোগকে প্রশংসা করেছেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামালের সমন্বয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন সাইড ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের অবস্থান এবং বিশ্ববাসীর ভবিষ্যত করণীয় বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন। গেøাবাল প্লাটফর্ম ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন-২০১৭’ সম্মেলনের শুরুতে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক নিয়ে প্রণিত বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্লান ২০১৬-২০২০ কার্যক্রম সর্বস্তরে প্রসংশিত হয়। বজ্রপাত মোকাবেলায় বাংলাদেশের নেওয়া সনাতন পদ্ধতি হিসেবে তালগাছ রোপন, প্রত্যন্ত এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, ঘূর্ণিঝড় ও উপকূলীয় জলোচ্ছাস পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতার জন্য স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী তৈরী ও প্রশিক্ষন প্রদান, দুর্যোগের ক্রান্তিকালে আলোর ব্যবস্থা অব্যাহত রাখা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের আলোকে বিকল্প জ্বালানীর উৎস হিসেবে সোলার প্যানেল কার্যক্রমের প্রশংসা করেন জাপান, ইতালি ও ইউরোপিয় ইউনিয়নের মন্ত্রীরা। ইউরোপিয় ইউনিয়নের মন্ত্রীরা বলেছেন, বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নেওয়া উদ্যোগের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এসডিজি অর্জনে সক্ষম হবে।
মায়া চৌধুরী বলেন, দুর্যোগকালে দরিদ্র জনগণ বেশী ঝুঁকিতে থাকে। এ উপলব্ধি থেকে বাংলাদেশ শুধু দুর্যোগ মোকাবেলায় নয়, দেশের দারিদ্র বিমোচনেও ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। দেশের প্রবৃদ্ধিও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশকে প্রথমে মধ্যম আয়ের দেশ ও পরে উন্নত দেশে পরিণত করতে বিভিন্ন মেয়াদের কর্মসূচি হাতে নিয়ে কাজ করছে সরকার। এভাবে বাংলাদেশ এখন বিশে^র এক রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। যে কোন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ বিভিন্ন কর্মকান্ড প্রশংসিত হচ্ছে। এই সম্মেলনেও তার প্রতিফলন ঘটেছে। ইন্টার মিনিট্রিয়াল কনফারেন্সে’ বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রীকে নির্ধারিত সময়ের অতিরিক্ত পাঁচ মিনিট বক্তব্য দিতে হয়েছে। বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীদের তিন মিনিট করে বক্তব্য দেওয়ার সময় নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এর আগে থেকে বাংলাদেশ নিয়ে সর্বস্তরে আলোচনা চলে। মন্ত্রী লিখিত বক্তব্য দেওয়া শুরু করলে একে একে বিভিন্ন দেশের মন্ত্রীরা বাংলাদেশের মন্ত্রীকে অতিরিক্ত সময় বক্তব্য দেওয়ার দাবি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন