‘রমযান আমাদেরকে তাকওয়া অর্জন করতে শেখায়। আল্লাহ রব্বুল আলামীনকে যথাযথভাবে ভয় করার মাধ্যমে তাঁর আদেশ-নিষেধসমূহ পূর্ণরূপে পালন পূর্বক তাঁর নৈকট্য অর্জনই হচ্ছে তাকওয়া। কলেমার শিক্ষায় পরিচালিত মানুষ যখন এই তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম ইনসানে কামেলে উপনীত হন, তখন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে তিনিই হন গণমানুষের ন্যায়ের প্রতীক, আদর্শ ও ইনসাফের মানদন্ডÑএছাড়া অন্যকোন বস্তু নয়। গ্রীকমূর্তিকে কেন্দ্র করে এ কথাই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, একজন কলেমার শিক্ষায় পরিচালিত মুসলমানের বিপরীতে বস্তুবাদ কেবলই নিছক পশ্চাৎপদতা, জ্ঞানপ্রতিবন্ধীতা ও মানবতা বিরোধী অপরাধ বই কিছু নয়।’
গতকাল ঢাকা মহানগর মুছলিহীন আয়োজিত খানকায়ে মুছলিহীন, মালিবাগে অনুষ্ঠিত এক ইফতার-পূর্ব সুধীসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ.-এর একমাত্র ছাহেবজাদা আমীরুল মুছলিহীন হযরত মাওলানা মুহাম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুর এসব কথা বলেন। নেছারাবাদী হুজুর বলেনÑ’কারো ওপর কারো বিশ্বাসকে না চাপিয়ে প্রত্যেকের বিশ্বাসের সুরক্ষা ও সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, আস্থা ও সমতার বিধানে সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে, কেবল সরকারের ওপর দায়িত্ব চাপিয়ে দিলেই চলবে না। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ ঝালকাঠি। কেননা, রমযানের পবিত্রতা রক্ষার যে নযীর ঝালকাঠিবাসী দেখাচ্ছে বাংলাদেশে তা বিরল। এর কারণ হচ্ছে হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুর রহ. সূচিত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেকের মধ্যে মনুষ্যত্ব ও মানবতাবোধের উন্মোষ। নিজের মত না চাপিয়ে অন্যের অধিকার নিশ্চিতের মধ্য দিয়েই যে নিজের অধিকার সুরক্ষিত হয়, পবিত্র মাহে রমযানকে কেন্দ্র করে তাই দেখিয়ে যাচ্ছে ঝালকাঠির মানুষ।’ খনকায়ে মুছলিহীন মালিবাগের সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে সেক্রেটারী কাউন্সিলর মোস্তবা জামান পপির সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জমিয়াতুল মোর্দারেছিনের মহাসচিব মাওলানা সাব্বির আহমেদ মোমতাজী। উপস্থিত ছিলেন প্রবিন আইনজীবী আলী হায়দার কায়সার, ১১নং ওর্য়াড কাউন্সিলর হামিদুল হক শামীম প্রমূখ। আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর, মহানগরী থানা ও ওর্য়াড মুছলিহীনের নেতৃবৃন্দ।-প্রেসবিজ্ঞপ্তি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন