শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বগুড়া বিএনপির সম্পাদককে শো’কজ খালেদা জিয়ার নির্দেশে প্রত্যাহার

ছবি জালিয়াতির সূত্র ধরে

| প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মহসিন রাজু , বগুড়া থেকে : ছবি জালিয়াতি করে বগুড়া বিএনপিসাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চানকে আওয়ামীলীগের কর্মসুচিতে যোগ দিয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে কেন্দ্র থেকে শো’কজ করে আবার তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর এই ছবি জালিয়াতীর ঘটনাটি জানার পর দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে , বগুড়া জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক ও সর্বমহলে ত্যাগী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত জয়নাল আবেদীন চানকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে সেখানে একজন বিতর্কিত ব্যবসায়ীকে ওই পদে বসানোর জন্য দীর্ঘদিন ধরেই একটি গ্রæপ চেষ্টা করে আসছিল । বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহনের পরও তা সম্ভব না হওয়ায় গত ৩০ মে বগুড়া জেলা বিএনপি অফিসে শহীদ জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় ওই গ্রæপটির ক্যাডাররা জয়নাল আবেদীন চানকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে। এই ঘটনার জেরে এবং পুনরায় অপমানিত হওয়ার হুমকির মুখে পরদিনের অপর একটি অনুষ্ঠানে তিনি যাননি। এরপর গত বৃহস্পতিবার বগুড়া পৌরসভার মেয়র জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট মাহবুব আয়োজিত ইফতার মাহফিলে যোগদেন জয়নাল আবেদীন চান । ইফতার মাহফিলে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বগুড়ার বয়োজ্যেষ্ঠ রাজনীতিক মমতাজ উদ্দিনও যোগদান করেন। সঙ্গত কারণেই দু’জনের বসার আসন হয় পাশাপাশি। মাহফিলে দুই দলের দুই রাজনীতিবিদ আলোচনাও করেন বিভিন্ন বিষয়ে। আর দুই মেরুর দুই রাজনীতিকের ঘনিষ্ট মুহুর্তের একটি ছবি ডিজিটালি কারসাজি করে ইফতার মাহফিলের ব্যানার ও অন্যান্য ব্যাক গ্রাউন্ড পারিপার্শি¦কতা মুছে দিয়ে সেটাকে আওয়ামী লীগের প্রোগ্রাম বলে চালিয়ে দিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদও প্রকাশ করা হয়। আর প্রকাশিত সংবাদের ওপর ভিত্তি গত শুক্রবার জয়নাল আবেদীন চানের বিরুদ্ধে একটি শোকজ নোটিশ ইস্যু করা হয়। নোটিশে স্বাক্ষর করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসিচব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। গত শুক্রবার ওই শো’কজ নোটিশ পেয়ে বগুড়া জেলা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চান ও দলের সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের মধ্যে বিস্ময় ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি হয় । ইনকিলাবে এই সংবাদটি গুরুত্বের সাথে প্রচারের পর কেন্দ্রীয় বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতা বিষযটি জানতে পারেন এবং তাদের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরী হয়। গত শনিবার খালেদা জিয়ার ইফতার মাহফিলে অংশ নিতে গেলে বিএনপি চেয়ারপার্সনের সাথে কথা হয় জয়নাল আবেদীন চানের। তিনি ইফতার মাহফিলেই চেয়ারপার্সনকে তাকে নিয়ে ছবি জালিয়াতির ঘটনাটি জানালে তিনি রাতে গুলশান অফিসে চানকে দেখা করতে বলেন। ওইদিন রাতেই জয়নাল আবেদীন চান, পৌর মেয়র মাহবুব , বগুড়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আজগর হেনা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান অফিসে দেখা করে পুরো ঘটনাটি খালেদা জিয়াকে খুলে বলেন। সব শুনে চেয়ারপার্সন ভীষন ক্ষুব্ধ হয়ে দ্রæত বহিষ্কার সংক্রান্ত চিঠি প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেন। গতকাল বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের চিঠি হাতে পেয়েছেন বলে ইনকিলাবকে জানিয়েছেন জয়নাল আবেদীন চান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন