স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাচন কমিশনের কাছে আওয়ামী লীগের কোনো আবদার নেই জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিরও যেন কোনো আবদার না করে। আর নির্বাচন কমিশন কারও ‘আবদার’ না শুনে সংবিধান অনুযায়ী যেন নির্বাচন দেয় সে অনুরোধও করেন তিনি।
গতকাল রোববার রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।
ইসির প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসনের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম জিয়া নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন ইসি যেন আওয়ামী লীগের আবদারে কান না দেয়। আমি তাকে (খালেদা জিয়া) বলতে চাই, ইসির প্রতি আওয়ামী লীগের কোন মামা বাড়ির আবদার নেই, যা বিএনপির থাকতে পারে। ‘আবদার আমরাও করবো না, আপনারাও করবেন না। নির্বাচন কমিশন কারো আবদার শুনবে না, তারা সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন দেবে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য তারা (বিএনপি) এখন মামলা প্রত্যাহারের কথা বলছে। আমাদের একজন এমপি কারাগারে, আমরা ক্ষমতায় তার ছয় মাসের দন্ড হয়ে গেছে। দুই তিনজন মন্ত্রী নিয়মিত কোর্টে হাজিরা দিচ্ছেন। আমরা তাহলে তাদের মামলা প্রত্যাহার করতে বলব না? মামলা প্রত্যাহারের সঙ্গে নির্বাচনের পরিবেশের সম্পর্ক নেই।
শিক্ষকদের রাজনীতি করার কোন দরকার নেই মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক দল সমর্থন করা যার যার অধিকার। শিক্ষকরাও সমর্থন করতে পারেন। কিন্তু শিক্ষকরা সক্রিয় রাজনীতি করলে শিক্ষার মান উন্নত হবে না। মানসম্মত শিক্ষার জন্য মানসম্মত শিক্ষকতাও দরকার। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য শিক্ষকদেরও হোমওয়ার্ক করতে হবে। তা হলে শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য শুভ হবে।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভালো ফলাফল শিক্ষা ব্যবস্থা গুণগত মানের উচ্চতা, আমি সেটা মনে করি না। জিপিএ ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থীরা যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজিতে দুইজন পাশ করে। এটা কোয়ালেটি শিক্ষা নয়। আমরা কোয়ালিটি শিক্ষা চাই। আমরা পরীক্ষার্থী চাই না, শিক্ষার্থী চাই।
তিনি বলেন, আজকালতো প্রশ্নপত্র লিক হয়ে যায়। ইন্টারনেট আমাদের অনেক উন্নতি করে দিচ্ছে। সারা দেশ ডিজিটাল হচ্ছে। কিন্তু ইন্টারনেটের কিছু সমস্যাও আছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসে ইন্টারনেটের একটা ভূমিকা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের বলবো ইন্টারেটে প্রশ্নপত্র লিকের সুযোগ তোমরা প্রত্যাখান করো। জীবিকার জন্য নয়, জীবনের জন্য শিক্ষা চাই।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, মাদক, ইয়াবা এবং দুর্নীতিকে না বলো। দুর্নীতি করবে না, মাদক নেবে না, মাদককে ঘৃণা করবে।
কাদের বলেন, আজকে আমাদের দূর্ভাগ্য শেখ হাসিনা ছাড়া আরেকজন রাজনৈতিকও মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলে না। আওয়ামী লীগ ছাড়া কোন রাজনৈতিক দল এর বিরুদ্ধে কথা বলে না। আজকে ইয়াবা আমাদের তরুণ সমাজের একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। অথচ ইয়াবার বিরুদ্ধে আমাদের রাজনৈতিক নেতারা নিরব। কোন রাজনৈতিক নেতা ইয়াবার বিরুদ্ধে কথা বলছে না।
মাদককে অভিন্ন শত্রু উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যে যে রাজনৈতিক দল করুন না কেন; ইয়াবা আমাদের সকলের শত্রু, মাদক আমাদের শত্রু। তাই এর বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে কথা বলতে হবে।
মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৫ আসনের সংসদ সদস্য কামাল আহমেদ মজুমদার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন