গংগাচড়া (রংপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : রংপুর শহর, সদর, গঙ্গাচড়া, তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ, মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ, পীরগাছা, কাউনিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও বাজারে কোচিং সেন্টারগুলোতে কিশোর কিশোরীদের অবাধ মেলামেশার ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। চলছে কোচিংয়ের নামে বাড়ি থেকে বের হয়ে এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা, ডেটিং ও গোপন অভিসার। বাধাহীনভাবে মেলামেশার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে এই কোচিং সেন্টারগুলো। লুফে নিচ্ছে শিক্ষার পরিবর্তে লাখ লাখ টাকা। সর্বস্বান্ত হচ্ছেন অভিভাবকরা। কোচিং সেন্টারগুলোর নিয়ন্ত্রণ করার কেউ নেই। রংপুর জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাগণ নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে। এমনকি কর্মকর্তাগণ এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রয়োজন করছেন না। বিশেষ করে পল্লী অঞ্চল থেকে আসা শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ছাত্রাবাস ও ছাত্রী নিবাস থেকে শহরে লেখাপড়া করে। তাদের অভিভাবকরা কাছে থাকেন না। ফলে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে তারা অপরিণত বয়সে প্রেমের স্বাদ মেটাতে উদ্বিগ্ন। একে অপরের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য বিশেষ সাজ পোশাকে নিজেদের আরও আকর্ষনীয় করে তোলে। কোচিং সেন্টারের সামনে ব্যাচ বদলের মাঝখানে চলে কিশোর-কিশোরীদের আড্ডাবাজি, যা অনেকে অনেক সময় দৃষ্টিকটুর পর্যায়ে থাকে। ক্লাস সেভেন কিংবা দশম শ্রেণির ছেলে-মেয়েরা প্রেমের জোয়ারে হাবুডুব খায়। আর এই সূত্র ধরে চলে গোপন অভিসার বা ডেটিং। প্রেমিক-প্রেমিকাকে নিয়ে রেস্টুরেন্ট, হোটেল-মোটেল, চিড়িয়াখানা, রংপুর সদরে ভিন্নজগৎ ও বিভিন্ন পার্কে গল্পগুজব করে সময় কাটিয়ে মনের তৃপ্তি মেটায়। ক্ষেত্রমতে অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় থাকে তাদের সাথে স্কুল ব্যাগ, বইপত্র ইত্যাদি।
এই বয়সের কিশোর-কিশোরীরা নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে না। যে কোন সময় ভুল পথে পা বাড়িয়ে দেয়। ফলে বাল্যবিয়ে, অবৈধ গর্ভপাত, বিবাহ বিচ্ছেদের মতো ঘটনা ঘটে যায়। এ সময় গোপন অভিসারের উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাফেরা করে নির্জন স্থানে, পার্কে বা কোন অবাঞ্চিত স্থানে। এ সময় অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় যুবক ও সন্ত্রাসীদের হাতে আটক হয়ে বিনোদন কেন্দ্রে মোবাইল, চেন, টাকা-পয়সা ছিনতাই ও নাজেহালের শিকার হতে হয় তাদের। অর অনেক সময় পুলিশের হাতে আটক হয়ে জেলহাজতে স্থান হয়। আর সামাজিক হেয়প্রতিপন্ন হতে হয় অভিভাবকদের। এ বিষয়ে সচেতন অভিভাবকদের প্রতিরোধের পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন