স্টাফ রিপোর্টার : চিকিুনগুনিয়া এবং ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা। এ মশার কামড়েই মানুষ এসব মারাত্মক এবং প্রাণসংহারি জ্বরে আক্রান্ত হন। এমনকি এই মশার কামড়েই ব্রাজিলে জিকা ভাইরাসের বিস্তার ঘটে। তাই এসব রোগ নিয়ন্ত্রনে এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ করা প্রয়োজন। সেই লক্ষে স্বাস্থ্য অধিদফতরের তত্ত¡বধানে আগামী শনিবার রাজধানীর ৫০টি ওয়ার্ডে ৯২ টি টিম এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করার কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচাল প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এসময় অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রন) প্রফেসর ডা. সানিয়া তাহমিনা, পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) প্রফেসর ডা. আব্দুর শরীদ, পরিচালক (আইইডিসিআর) প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঢাকা শহরের ৫০টি ওয়ার্ডে চিকুনগুনিয়ার বহক এডিস মশার বিচরণ সবচেয়ে বেশি। এরমধ্যে ৪৭টি ওয়ার্ড চারণভ‚মি হিসিবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব এলাকায় এডিস মশা প্রজননের হার স্বাভাবিকের তুলনায় প্রায় তিন গুণ। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে মশক নিবারনে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও তা যথেষ্ট নয়। তাছাড়া এডিস মশা দিনের বেলা ঘরের ভেতরেই অবস্থান করে। তাই ৫০টি ওয়ার্ডের ৯২টি এলাকায় এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র নষ্ট এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ১৭ জুন অধিদফতরের পক্ষ থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
তিনি বলেন, শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিশেষ এ কর্মসূচি পালিত হবে। ঢাকা শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র/শিক্ষক, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা কর্মচারীদের সমন্বয়ে ৯২টি টিম গঠন করা হয়েছে। এসব টিম চিহ্নিত এলাকায় এডিস মশার সম্ভব্য প্রজনন স্থল সনাক্ত করে তা ধ্বংস এবং জমে থাকা পানি অপসারণ করবে। জনগণকে এডিস মশা বাহিত রোগ চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতন করবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রী, স্বাস্থ্য প্রতি মন্ত্রী, সচিবগণ, অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উক্ত কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন