গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা : দৌলতদিয়া টার্মিনালে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গৃহবধু নাছিমা খাতুন (৩০) কে যৌন পল্লীতে বিক্রির চেষ্টার সময় রাজবাড়ী ডিবি পুলিশ মেঘনা আক্তার (২৪) কে গ্রেফতার করেছে। তার বাড়ী কুড়িগ্রাম জেলার বাজিত পুর উপজেলার সাজাইল গ্রামে। তার পিতার নাম আমিরুদ্দিন শেখ। সে পটুয়াখালীর একটি যৌনপল্লীতে থাকে। গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর এলাকায় নাছিমার স্বামী হানেফ এর সাথে সাক্ষাতের পর চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুরহুদা উপজেলার উদ্দেশে এক সন্তানের জননী রওনা হয়। পথিমধ্যে মেঘলা আক্তার নাছিমাকে প্রলভোন দেখিয়ে দৌলতদিয়ায় নিয়ে আসে। মেঘলার কথাবার্তা সন্দেহ হলে চলন্ত রিক্সা থেকে নাছিমার কুচক্রির হাত থেকে রক্ষা পেতে জীবনের ঝুকি নিয়ে লাফিয়ে দৌড়াতে থাকে এবং আত্মরক্ষার জন্য চিৎকার করে। রাজবাড়ী ডিবি পুলিশের টহল দল নাছিমাকে উদ্ধার ও মেঘলা আক্তারকে গ্রেফতার করে দুপুর ৩ টায় গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই এলাহীর নিকট সোপর্দ করেন। অপরদিকে ফরিদপুর র্যাব-৮এর সদস্যরা দৌলতদিয়া যৌনপল্লী হামিদা বাড়ী ওয়ালীর বাড়ীতে জোরপূর্বক দেহব্যবসা করানোর অভিযোগে হামিদার বাড়ী ওয়ালির কথিত পুত্র মকুল শেখ (২৩) কে গ্রেফতার করে। তার বাড়ী থেকে রেখা খানম (ছদ্মনাম) (২২) কে উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর নারী ও মানব পাচার ব্যবসায়ী হামিদা পালিয়ে যায়। গোয়ালন্দ ঘাট থানায় রেখা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন