স্টাফ রিপোর্টার : পর্যাপ্ত চিকিৎসক সংকটে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে মাদকাসক্তির সেবা প্রদানকারী হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা। দেশে মাদকাসক্তিতে ভুগছেন এমন মানুষের সংখ্যা ৭০ লাখের বেশি। অথচ চিকিৎসক আছেন মাত্র ২২০ জন। দেশের মাদকাসক্তির চিকিৎসায় অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সরকারি বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়ন ঘটলেও দীর্ঘদিনেও উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে পিছিয়ে আছে এই চিকিৎসা ব্যবস্থা।
গতকাল জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও পদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস’ উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্ট।
মূল উপস্থাপনায় ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মেখলা সরকার বলেন, যারা মাদক নেয় তাদের মধ্যে ১০ শতাংশের মাদকাসক্তি রোগ দেখা দেয়। অন্য উপস্থাপনায় একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, মাদকাসক্তির চিকিৎসা চিকিৎসকদেরই করা উচিত। যেহেতু এটা রোগ, তাই এর চিকিৎসা অন্য কারও করা উচিত নয়;আর তা সম্ভবও না।
তিনি বলেন, মানসিক রোগীরা প্রায়ই অপচিকিৎসার শিকার হয়। তথাকথিত কবিরাজ ও ফকিররা তাদের মেরে, পিটিয়ে, পানিতে ডুবিয়ে, নানাভাবে অত্যাচার করে। তাবিজ-কবজ ও পানি পড়ায় কাজ তো হয়ই না, শুধু বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা নিতে দেরি হয়ে যায়। ফলে রোগ ক্রনিক বা দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং চিকিৎসা দেয়া জটিল হয়ে ওঠে। অনেক সময় রোগী চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়।
অনুষ্ঠানে একাধিক আলোচক মাদকাসক্তির চিকিৎসায় চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোর লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাত থেকে নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হাতে ন্যস্ত করার দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ মোহিত কামাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন